নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবীণ রাজনীতিবিদ সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলীর ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী আগামীকাল। সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৯৮ সালের ২৬ জানুয়ারি পবিত্র শবে ক্বদরের রাতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময় মুজিব বাহিনীর সাতক্ষীরার (তৎকালীন সময় সাতক্ষীরা মহকুমা) প্রধান ছিলেন। এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ঢাকায় ৬ দফা আন্দোলনের (প্রথম দিনের আন্দোলনে) রাজধানীর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওই আন্দোলনে সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সাবেক অর্থ মন্ত্রী মরহুম শাহ এস এম কিবরিয়া, সাতক্ষীরার এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ও মাখন মিয়া অন্যতম ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়ে জোরদার করতে এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী সাতক্ষীরা জেলায় চলে আসেন। এছাড়া তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ছিলেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের সময় ১৯৯০ সালে সর্ব দলীয় ও ১৯৯৬ সালে জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি সাতক্ষীরার সামাজিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মরহুম এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদিকে এড. এন্তাজ আলীর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, তার মৃত্যুর পর প্রায় ২ সপ্তাহের মাথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে বাস ভবনে আসেন পরিবারকে সান্তনা জানাতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য প্রবীণ এ নেতার মৃত্যুর পর থেকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত সময় কোন শোক ও স্মরণ সভাও করা হয়নি। এমনকি এ নেতার নামে আজ পর্যন্ত সাতক্ষীরার কোন সড়ক তার নামে নামকরণ করা হয়নি। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন অলিগলির বিভিন্ন সড়ক গুলো বিভিন্ন নামে নাম করণ করা হয়েছে। এমনকি এক সময়ের মুসলিম লীগ নেতার নামে নামকরণ করা হয়। সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল প্রাণ সায়ের খালের পাশের রাস্তাটি (পাকাপোল থেকে কাটিয়া বাজার ব্রীজ) এড. এন্তাজআলীর নামে নামকরণ করার কথা থাকলেও তৎকালীণ পৌর মেয়র ও তা না করে ওই মুসলিম লীগ নেতার নামে নামকরণ করে। যেখানে দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের চিহ্ন মূছে ফেলতে চাইলেও সাতক্ষীরা শহরের এ সড়কটির নামকরণ একজন নামকরা মুসলিম লীগ নেতার নামে করা হয়েছে। সেখানে কেন একজন আ’লীগের সাবেক সাংসদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে সড়কের নামকরণ করা হবেনা এ আক্ষেপ ওই পরিবারটির। পরিবারের সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, যেখানে বীরমুক্তিযোদ্ধা এড. এন্তাজ আলীর নামে ওই সড়কটি করার কথা থাকলেও ওই মুসলীম লীগ নেতার নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা আ’লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের কোন সংগঠনের কেউ এ ব্যাপারে আজও পর্যন্ত প্রতিবাদ করেনি। এব্যাপারে এড. এন্তাজআলীর পরিবার জেলা আ’লীগ, সদর এমপি, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ও পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট