দেশের খবর: দুয়ারে কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, দুই জোটের মাঝে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মাত্রা সেই হারেই দিন দিন বেড়ে চলছে। নির্বাচনের প্রথম থেকেই বিএনপির নীরবতা আওয়ামী লীগকে ভাবিয়েছিল কিন্তু নির্বাচনের শেষমুহূর্তে বিএনপি প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করায় ক্ষমতাসীন দলকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে।
ক্ষমতাসীনরা আশা করেছিল এক সময় বিএনপি হয়তো ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবে কিন্তু বিএনপি নেতারা ভোটের মাঠ থেকে সরে যায়নি। এমনকি তারা ভোটের মাঠ থেকে সরে না যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এবার তারা নির্বাচন থেকে সরছে না। ইতোমধ্যে নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি প্রার্থী ও দলীয়, কর্মী-সমর্থকরা। তবুও তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না। প্রথমে চুপ করে থাকা বিএনপি হঠাৎ করে সক্রিয় হওয়ায় ক্ষমতাসীনদের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে। কি চাচ্ছে বিএনপি? এ নিয়ে বেশ অসস্তিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও বিএনপি নেতৃত্বধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দুই জোটের দাবি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ২ দিন। অথচ নির্বাচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত দুই জোটের ১৭ জনের অধিক নিহত এবং আহত প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি। বিএনপির ডাক সাইটের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে আহত হয়েছে। সেভাবে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী নির্বাচনে আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে আসেনি। তবে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক’শ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে। গত কয়েক দিনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের ফোনালাপ শোনা গেছে। সেখানে তাঁরা তাদের কর্মীদের কীভাবে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছেন, আপনারা দেখেছেন। নির্বাচনের প্রথম দিকে বিএনপির চুপ করে থাকা আমাদের বেশ ভাবিয়েছে। কারণ তারা তো সহিংসতা করে। এ কারণে আমাদের মধ্যে একটা ভয় ছিল জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে। তবে শেষ মুহুর্তে এসে তারা ভোটের মাঠে সক্রিয় হয়ে নাশকতা চালাচ্ছে। এ বিষয়টাও আমাদের বেশ ভাবাচ্ছে।