স্বাস্থ্য ডেস্ক: সুস্থ শরীর সুস্থ জীবনের ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু যেকোনো সময় আপনি ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হতে পারেন আপনি৷ অনেকের ধারণা থাকে বাইরের খাবারে ফুড পয়জনিং হতে পারে। কিন্তু বাইরের খাবার না খাওয়ার পরেও হতে পারে এ সমস্যা৷ অনেক সময় বাড়ির রান্না করা খাবারে কিছু ভুলে হতে পারে ফুড পয়জনিং৷
সঠিক তাপমাত্রায় রান্না :
অনেক সময় বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে যদি মাংস পুড়ে যায় সেই ভয়ে আমরা কম তাপমাত্রায় রান্না করি৷ এ কাজটা প্রত্যেকের সঙ্গেই ঘটে থাকে৷ বিশেষত, এই ভুল মাইক্রোওয়েভে রান্নার ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে৷ সঠিক তাপমাত্রায় রান্না না করলে মাংসের মধ্যে থাকা জীবাণু ধ্বংস হয় না৷ ফলে তা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীর অসুস্থ করে তোলে৷
স্লো-কুকারে হিমায়িত মাংস দেয়া :
ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে ক্রকপট সত্যিই প্রযুক্তির আশীর্বাদ স্বরূপ৷ রান্নার জন্য স্লো-কুকারে মাংস ও মশলা দিয়েই আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে যাই৷ কিন্তু তাড়াহুড়োর চোটে রেফ্রিজারেটর থেকে মাংস বের করেই ক্রকপটে দিয়ে দেয়া অত্যন্ত ভুল কাজ৷ এক্ষেত্রে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তবেই তা স্লো-কুকারে দিন৷
ভালোভাবে পরিষ্কার না করা :
বাজার থেকে মাংস কিনে আনার পরই তা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার পাত্রে রেখে রেফ্রিজারেট করুন৷ দোকানি আপনাকে কী রকম হাতে মুরগী কেটে দিচ্ছেন তা তো আপনার অজানা৷ ফলে নিজে পরিষ্কার থাকুন৷ মাংস রান্নার সময়ও পরিষ্কার ভাবে রান্না করুন৷ তাহলেই রোগজীবাণু ছড়াবার কোনো ভয় থাকে না৷
ঠাণ্ডা মাংস খাওয়া :
ফ্রিজ থেকে বের করে কিছুক্ষণ বাইরে রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তা পরিবেশন করছেন? এ কাজটা প্রতিনিয়ত করছেন যা চরম ভুল। ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশনের সময় ১৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে নিন৷ না হলে ফুড পয়জনিং-এর মতো সমস্যা হতেই পারে৷
মাংস অনেকক্ষণ ফ্রিজের বাইরে রাখা :
মাংস কখনও এক ঘণ্টার বেশি ফ্রিজের বাইরে রাখবেন না৷ তাহলে এতে রোগজীবাণু বাসা বাঁধে৷ তাছাড়া ধুলোবালিও পড়তে পারে৷ ফলে প্যাক করা মাংশ খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷