বিদেশের খবর: ব্রাজিলের সদস্য শপথ নেয়া প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো বলেছেন, নির্বাচনে তিনি জয়ী হওয়ায় তার দেশ সমাজতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিশুদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটি থেকে দুর্নীতি, অপরাধ ও অর্থনৈতিক অনিয়ম দূর করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি।
ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর সাবেক এ ক্যাপ্টেন দেশটির ১৯৬৪-৮৫ সাল পর্যন্ত সামরিক একনায়কতন্ত্রকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। এর আগে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিরোধীদের নিয়ে তার বক্তৃতা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
৬৩ বছর বয়সী বোলসোনারো বলেন, সমাজতন্ত্র থেকে দেশকে মুক্ত করা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সাতবারের এ সদস্য ব্রাজিলের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়েই ছিলেন। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ক্ষুব্ধ মানুষ ভোট দিয়ে এবার তাকে বিজয়ী করেছেন।
মঙ্গলবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন উগ্র ডানপন্থী জইর বোলসোনারো। রাজধানীর ব্রাসেলিয়ায় মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি শপথগ্রহণ করেন। তার শপথের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি কট্টর রক্ষণশীলতার ধাপে পা রেখেছে।
অক্টোবরের শেষ দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো হাদ্দাদকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন বোলসোনারো। দ্বিতীয় দফার ভোটে মধ্য-বামপন্থী ওয়ার্কার্স পার্টির হাদ্দাদকে বেশ ভালো ব্যবধানেই হারাতে সক্ষম হন তিনি।
শপথের পর ব্রাজিলের জাতীয় কংগ্রেসে দেয়া প্রথম ভাষণে বোলসোনারো বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে এক অনন্য সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। তার বক্তব্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বামপন্থী আদর্শের বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াই, বন্দুক মালিকানা আইন শিথিল করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় উঠে এসেছে।
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ব্রাজিল সব কিছুর ওপরে। আর ঈশ্বর হচ্ছে সবার ওপরে।
বোলসোনারো অপরাধের বিরুদ্ধে ধরপাকড়, দুর্নীতির মোকাবেলা এবং দেশে পারিবারিক ও খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।