স্পোর্টস ডেস্ক: অনেকেই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসিকে তুলনা করে থাকেন বিশ্ব ফুটবলের দুই কিংবদন্তি পেলে আর ডিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে। তাদের মতে, মেসি পেলে-ম্যারাডোনার কাতারে চলে গেছেন। কিন্তু পেলের দেশের আর এক কিংবদন্তি জিকো মনে করেন, মেসি কিছুটা ম্যারাডোনার কাছাকাছি থাকলেও পেলের চেয়ে তিনি যোজন যোজন দূরে। কারণ সর্বকালের সেরা একজনই- পেলে।
এই মৌসুমেও দারুণ ছন্দে আছেন মেসি। লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে ১৫ ম্যাচে ১৫ গোল করে ফেলেছেন। টানা আট বার মৌসুমে ৩০ গোল করার রেকর্ডও হয়তো গড়ে ফেলবেন। মেসির জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ বারও অন্যতম ফেভারিট তার ক্লাব। বার্সায় খেলে এমন কোনো ট্রফি নেই যা তোলেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ৫ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। এত কিছুর পরেও জিকো কিন্তু মনে করেন, সেরা সময়ের ম্যারাডোনা সব অর্থেই মেসির থেকে ভাল ছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলীয় বিশ্বকাপ তারকা বলেছেন, ‘মেসি এমনিতে ডিয়াগো ম্যারাডোনার খুব কাছাকাছিই থাকবে। তবে একটু হলেও ডিয়াগোকেই আমি এগিয়ে রাখব। তবে পেলের সঙ্গে ওর কোনো তুলনাই হয় না। ঈশ্বর যখন পেলেকে সৃষ্টি করেছিলেন, তখন এক জন সার্থক ফুটবলারের যা যা গুণ থাকা উচিত তার সব কিছু দিয়েছেন। গতি, শক্তি, টেকনিক, শট মারার ক্ষমতা, হেড করায় দক্ষতা, ড্রিবলিং— পেলের সব ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার (পেলে) মতো খুব কম ফুটবলারই লাফিয়ে হেড দিতে পারতেন। অথচ তার উচ্চতা ১৭০ সেন্টিমিটার। পেলে বল নিয়ন্ত্রণ করতেন অবিশ্বাস্য দক্ষতায়! লিও মেসিও প্রায় সব পারে। কিন্তু পেলের মতো বিশ্বকাপ জেতেনি। যা অবশ্যই দুজনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।’
ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে জিকো বলেন, ‘একই কারণে ডিয়াগোও এগিয়ে। লিও ক্লাবের হয়ে অনেক কিছু করেছে। কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ম্যারাডোনা কিন্তু একই সঙ্গে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সফল। তা ছাড়া বড় মঞ্চে ও সব সময় জ্বলে উঠত। ওর সময় আর্জেন্টিনা অন্যরকম ছিল। কিন্তু ইউরোপের সেরাদের নিয়েও এখন কিন্তু বিশ্বকাপের মতো আসরে আর্জেন্টিনাকে ফেভারিট বলা যায় না। মেসি থাকলেও না। তাই আমার চোখে ডিয়াগো একটু হলেও এগিয়ে থাকবে।’