রাজনীতির খবর: রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ইমাম এই রায় ঘোষণা করবেন। কয়েক দফা রায়ের তারিখ পেছানোর পর গত ১৫ জানুয়ারি রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।
গত বছর ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আল মামুন রায় ঘোষণা না করে অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। ওই সময় বিচারক রায়ের পর্যায়ে এসে মনে করেন, ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর বিধায় আরো যুক্তিতর্ক শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অন্য একটি আদালতের বিচারক। ফলে ওই আদালতের কাছে মামলার সব বিষয় স্পষ্ট না হওয়ায় রায় প্রস্তুত করতে পারেননি তখন। পরে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। আদালত পর পর কয়েকটি ধার্য তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানি গ্রহণ করে গত বছর ৪ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু ওই দিন আবার নতুন করে একজন সাক্ষীকে তলব করেন। ১৭ অক্টোবর সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে রায়ের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওই দিন রায় না দিয়ে আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আওয়ামী লীগের নেত্রী ও গত সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি এই মামলার একমাত্র আসামি। তিনি কারাগারে আছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে মদ্যপ অবস্থায় রনি নিজ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। পরবর্তী সময়ে হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, রনির গাড়ি থেকে করা গুলিতেই ওই ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করার সময় ওই বছরের ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর গাড়ির চালক ও সঙ্গীয় লোকজন তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান, রনি ওই গুলি ছুড়েছিলেন। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস।
পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।