সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ছোট কলাগাছিয়া এলাকায় র্যাব-৮ এর অভিযানে বনদস্যু নরু বাহিনীর প্রধান নুর হোসেন ওরফে নুরু ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আব্বাসকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপী ছোটকলাগাছিয়া এলাকার পশুরতলা খালে উভয় পক্ষের শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশি বন্দুক ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটক বনদস্যু নুরু বাহিনীর প্রধান নুর হোসেন যশোর জেলার শার্শা থানার বাগআচড়া গ্রামের জাকের আলী দালালের ছেলে এবং তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আব্বাস আলী গাজী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত বশির গাজীর ছেলে।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের ছোটকলাগাছিয়া এলাকার পশুরতলা খালে বনদস্যু নুরু বাহিনীর অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডি,এ,ডি আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যু নুরু বাহিনীর সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও তাদেরকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নুরু বাহিনীর প্রধান নুর হোসেন ওরফে নুরু ও আব্বাসকে র্যাব সদস্যরা আটক করতে পারলেও বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আটক দুই বনদস্যুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখান থেকে ০২টি বিদেশী একনালা বন্দুক, ০১টি বিদেশী দোনালা বন্দুক, ০১টি বিদেশী কাটা রাইফেল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় র্যাব-৮ এর ডি,এ,ডি আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে আটক দুই বনদস্যুর নামে শ্যামনগর থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা দায়ের করে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট