আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বড়দলে জমি জবর দখলের লক্ষ্যে এক অসহায় বৃদ্ধা বিধবার ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের মধ্যম বড়দল গ্রামে। সরেজমিন ঘুরে ও একাধিক প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, বিগত এক সপ্তাহে তার ঘরে পরপর ২ বার আগুন দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার গভীর রাতে বৃদ্ধার বসত ঘরে কে বা কাহারা বাহির থেকে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধা অসহায় মহিলার কাঠের বেড়া ও ঘরের ভিতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনার সময় বৃষ্টি হাওয়া থাকায় সামান্যের জন্য বেঁচে গেছে বৃদ্ধা মহিলার জীবন। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ছয় দিন পূর্বে একই ঘরের পাশে খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। বড়দল ইউনিয়নের মধ্যম বড়দল গ্রামের মৃত এলেম সরদারের স্ত্রী বৃদ্ধা খাদিজা বেগম জানান, আমার শেয সম্বল এই বসত ভিটা টুকু জবর দখলের জন্য প্রতিবেশী ইউসুফ পাড়ের জামাই সাহেব আলী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এতে কাজ না হওয়ায় এক সপ্তাহে পরপর দুই বার তারা আমার ঘরে আগুন দিয়েছে। এই জমি কেনার সময় মালিকের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আমার স্বামী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। পরে এক সময় আমাদের দলিলের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড খাস করে নেয়। এখন সাহেব আলী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন আমাদের কে তাড়িয়ে দিয়ে জমি জবর দখলের পায়তারা করে চলেছে। এই জমি নিয়ে থানায় ও ইউনিয়ন পরিষদে বাসাবসি হয়েছিল। দুটি মীমাংশা পত্র আমাদের কাছে আছে। আমি আমার শেষ সম্বল রক্ষা এবং হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে অভিযুক্ত সাহেব আলী জানান, নালিশী সম্পত্তি আমরা সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখল করে আসছি।খদেজা ও তার পুত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে আসছে। আমরা তাদের ঘরে আগুন দেয়নি। তবে যেই আগুন দিয়ে থাক ভালোভাবে ঘরে আগুন লাগলে তাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতাম আমি। কারণ তাদের ঘরের পাশে আমার বিচলীর গাদা এবং আমার বসত ঘর। স্থানীয় ইউপি সদস্য দেবব্রত কুমার মন্ডল, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন মোড়ল ও আব্দুল হান্নান গাজী জানান, আগামীকাল বসাবসির মাধ্যমে বিষয়টির একটি মিমাংশা করা হবে।