নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা স্থলবন্দরের ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবৈধ কমিটি বাতিল করে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর। দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর থেকে নির্বাচনের নির্দেশনা জারী করার খবর প্রচারিত হওয়ায় ভোমরা স্থল বন্দরের সাধারণ শ্রমিকরা আনন্দ ও উল্লাসে মেতে উঠেছে। তাদের মধ্যে এখনই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ভূয়া কাগজ-পত্রের মাধ্যমে বেআইনিভাবে নির্বাচন দেখিয়ে অবৈধভাবে এবং দেশের প্রচলিত শ্রম আইন বহির্ভূতভাবে যে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর পূর্বের অবৈধ কমিটি বাতিল করে ঐ সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সাধারণ শ্রমিক ও সাবেক নেতৃবৃন্দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত-ইং- ০৫/০২/১৭ তারিখে ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত হয়। তদন্তে প্রতিয়মান হয় যে, তারা কাগজ-কলমে ভূয়া একটি নির্বাচন দেখাইয়াছে। খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তর ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কমিটি বেআইনি ঘোষণা করে এবং আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে উক্ত ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভার মাধ্যমে সদস্য হতে ইচ্ছুক সকল শ্রমিকদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যাহার পত্র সূত্র নং-যুশ্রপ/টিইউ-২২৫৬/৯৬ (খন্ড-২)/২০১৪/২৩২ (৮) তারিখ-১৯/০২/১৭ খ্রিঃ। ভোমরা স্থল বন্দরের ৪টি শ্রমিক ইউনিয়নগুলো হল- ভোমরা স্থলবন্দর গোডাউন হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- খুলনা-১১৫৯, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনয়ন রেজিঃ নং- খুলনা- ১১৫৫, ভোমরা বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং- ১৯৬৪, ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ১৭২২। উল্লেখ্য যে, বিগত দিনে উল্লেখিত ৪টি হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার অপব্যবহার করে শ্রমিকদের কাজের মজুরীর টাকা আত্মসাৎ, শ্রমিকদের হয়রানী-নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, প্রতিবাদী শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে সদস্য পদ বাতিল করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচার এবং সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সেহেতু তাহাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্ল্ষ্টি প্রশাসনের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ শ্রমিক ও এলাকাবাসী।
খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে যদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হলে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে এবং সেই ক্ষোভ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশংঙ্খা করছে সাধারণ শ্রমিক ও সচেতন মহল।
পূর্ববর্তী পোস্ট