সংস্কৃতি সংবাদ: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আধুনিক বাংলাগানের বরেণ্য শিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সুবীর নন্দীর মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
এরপর শিল্পীর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হবে এফডিসিতে। সেখান থেকে নেওয়া হবে রামকৃষ্ণ মিশনে। পরে দাহ করার জন্য সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সুবীর নন্দীর মরদেহ।
সেখান থেকে তার মরদেহ নেওয়া হয় গ্রিন রোডের বাসায়।
গত ১৪ এপ্রিল রাতে কিডনি ও হার্টের জটিলতায় আক্রান্ত সুবীর নন্দীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্টও দেওয়া হয়। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিন পর সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও পরে অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর সাড়ে ৪টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী চলে যান জীবনের অনিবার্য গন্তব্যে।
নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে বাজারে আসে। তবে চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সঙ্গীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে।