খেলার খবর: ৮৩ রানেই নেই ৫ উইকেট। পাকিস্তানের বোলিং তোপে একটা সময় মনে হচ্ছিল, দেড়শ করাই দায় হবে নিউজিল্যান্ডের। সেই দলটি শেষ পর্যন্ত তুলেছে ৬ উইকেটে ২৩৭ রান।
এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই চাপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারে কিছুটা চমক ছিল। অফস্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। তবে সেই ওভারটা বেশ দেখেশুনেই কাটিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মোহাম্মদ আমির। প্রথম বলেই উইকেট। আমিরের অফসাইডের বলটি শরীরের বাইরে থেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পে টেনে আনেন গাপটিল, মাত্র ৫ রান করেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ওপেনার।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ড ধীর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করে। কিন্তু সপ্তম ওভারে এসে তারা হারিয়ে বসে আরেক ওপেনার মুনরোকেও। ১২ রান করে শাহীন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি।
নিজের পরের ওভারে আবারও আঘাত শাহীন আফ্রিদির। এবার তিনি পরাস্ত করেন কিউই ব্যাটিং স্তম্ভ রস টেলরকে (৩)। উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সরফরাজ আহমেদ।
১৩তম ওভারে আরও এক উইকেট শাহীন আফ্রিদির। এবার তার দুর্দান্ত ডেলিভারিটি কিছু বোঝার আগেই টম লাথামের (১) ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় সরফরাজের হাতে। ৪৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা।
পঞ্চম উইকেটে চাপ কিছুটা সামলে উঠেন কেন উইলিয়ামসন আর জিমি নিশাম। ৩৭ রানের এই জুটি ভাঙেন শাদাব খান। তার ঘূর্ণিতে ৪১ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক সরফরাজের ক্যাচ হন অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে নিশাম আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। তাদের ১৩২ রানের বড় জুটিতে ভর করেই লড়াকু পুঁজির ভিতটা পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
৭১ বলে ৬৪ রান করে রানআউটের কবলে পড়েন ডি গ্র্যান্ডহোম। তবে নিশাম শেষ পর্যন্ত আউট হননি। যদিও একটুর জন্য সেঞ্চুরিটা পাননি। ১১২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম।
পাকিস্তানের পক্ষে ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির আর শাদাব খান।