চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর আগে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারার ক্ষত পুষিয়ে দ্বিতীয় লেগে উঠতে পারেনি কোনো দল। হয়নি বলে কোনোদিন হবে না, এমনটা তো নয়। অসাধ্য সেই কাজটিই করে দেখাল বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে ইতিহাস গড়ে পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল নেইমার-মেসিদের বার্সেলোনা।
শেষ ষোলোর প্রথম লড়াইয়ে পিএসজির মাঠে গিয়ে ৪-০ গোলে হারে বার্সেলোনা। পরের রাউন্ডে উঠতে হলে করতে হবে বিশ্বরেকর্ড। পিএসজির মতো দলের বিপক্ষে যেটা কার্যত অসাধ্যই ছিল। তবে মেসি-নেইমার-ইনিয়েস্তাদের কাছে তো অসম্ভব বলে কিছু নেই। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানে শেষ আটে উঠল বার্সেলোনা। নেইমারের জোড়া গোলের রাতে মেসি, সুয়ারেজ ও সার্জিও রবার্তো গোল করেন।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচ শুরুতে হয়তো মেসিরাও ভাবেননি যে তাঁরা পরের রাউন্ডে উঠতে পারবেন। তবে চেষ্টা করতে দোষ কী? সেটা করতে গিয়ে দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে বসেন সুয়ারেজ। প্রথমার্ধের আক্রমণের পর আক্রমণ করলেও গোল আসছিল না। ৪০তম মিনিটে
আত্মঘাতী গোলে আরো কিছুটা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় কাতালান ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধানটা ৩-০ করে ফেলেন মেসি। আর এক গোল হলেই সমতায় চলে আসবে মেসিরা, এমন সমীকরণের সময় পিএসজির হয়ে গোল করে বসেন এডিসন কাভানি। এই গোলে বার্সার পরের রাউন্ডের ওঠার স্বপ্নে বিরাট এক ধাক্কা লাগে।
নেইমার-ঝলক তখনো বাকি। ৮৮ মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রিকিকে গোল করেন ব্রাজিল তারকা। ৯০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে অসম্ভবটাকে সম্ভবের পর্যায়ে নিয়ে আসেন তিনি। আর খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে সার্জিও রবার্তোর গোলে ইতিহাস গড়া অবিশ্বাস্য এক জয় পায় বার্সেলোনা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপর ম্যাচে জয় পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। বেনফিকাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছে জার্মানির ক্লাবটি।