স্বাস্থ্য ও জীবন: বহু মানুষের ব্লাড গ্রুপ এ, বি, ও পজিটিভ এবং ও নেগেটিভ না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই আগে থেকেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখা উচিত কার রক্তের গ্রুপ কী। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যদি কোনো অসুখে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা হলে ব্লাড গ্রুপ জানা থাকলে বাড়ির মানুষের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।
বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন-এ ধরনের লোকের সংখ্যা একেবারে হাতেগোনা। পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান মেলানোর পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষাও হয়ে উঠেছে বিয়ের অনিবার্য অংশ। কেননা এ রক্ত পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, ভবিষ্যতে সন্তান সুস্থ হবে কিনা, তা দেখা। তাই হবু মা ও বাবার নির্দিষ্ট কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো একান্ত প্রয়োজন।
টিসি. ডিসি, ইএসআর, কোলেস্টেরল, আরএইচ ফ্যাক্টর, এইচআইভি, আয়রন লেভেল ইত্যাদি কিছু রুটিন পরীক্ষা ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই করানো উচিত। তা হলে প্রথম থেকেই একটা মেডিক্যাল হিস্ট্রি থাকবে। এ ছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, থ্যালাসেমিয়া, এসটিডি, হেপাটাইটিস বা টিউবারকিউলোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে কিনা, তা জানার জন্য বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক।
যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা মেজর হন, তা হলে সে কী ধরনের জীবনসঙ্গী খুঁজবে এবং ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনা করতে পারবে কিনা বা সন্তান জন্মালেও সে কতটা সুস্থ হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকে চিকিৎসকের গাইডলাইন থাকলে ভালো হয়। সর্বোপরি অনেকেই হয়তো বংশানুক্রমিক (হেমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া, জেনেটিক ব্যাধি) কোনো রোগে আক্রান্ত।
কিন্তু কোনো লক্ষণ না থাকায় তা জানতে পারেননি। বিয়ের আগে এসব কিছুই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। উভয়ের রোগ থাকলে এ ক্ষেত্রে অনাগত সন্তানের বিপদ আরও বেড়ে যায়। যদি মেয়েদের তলপেটের রোগ ব্যাধির (পিআইডি) মতো কোনো সমস্যা থাকে, তা হলে সন্তান পরিকল্পনার সময় তা টের না পাওয়া গেলে পরে মারাত্মক জটিলতা হতে পারে।
তাই কোনো ধরনের ইগো বা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না রেখে বিয়ের আগেই করিয়ে নিন প্রয়োজনীয় চেকআপ। ডায়াবেটিস বংশগত কারণে অনেক কম বয়সে দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কম বয়সে যে কেউ হার্ট বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিয়ের আগে সামান্য ব্লাড সুগার টেস্টে রোগটি ধরা পড়তে পারে।