রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থিত র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বলেছেন, ‘জুমার নামাজের আগে ২৫-৩০ বছর বয়সী এক যুবক ক্যাম্পের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।’
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া একথা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ‘আশকোনার হজ ক্যাম্পের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পের ভেতরে বিস্ফোরণ হয়েছে। ভেতরে পুলিশকে অ্যালাও করা হচ্ছে না। যতদূর ধারণা করছি, আত্মঘাতী হামলা হয়েছে এবং হামলাকারী নিহত হয়েছে।’
এ ঘটনায় র্যাবের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।। ঘটনাস্থলে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হাজি ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকা তল্লাশি চালাচ্ছে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সদস্যরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটও (সিটিটিসি) ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘র্যাবের আশকোনায় নির্মানাধীন কার্যালয়ে আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে একজন পুরুষ দেয়াল টপকিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তখন গোসলে থাকা র্যাব সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করলে ওই যুবকের সঙ্গে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে আক্রমণকারী নিহত হয়। র্যাব-২ এর সদস্য আহত। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহত র্যাব সদস্যরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।’
র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বিকাল ৩টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ক্যাম্পের প্রবেশের জন্য একটা মেইন গেট আছে। এখানে যানবাহনসহ মানুষ প্রবেশের বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বেলা ১টার দিকে দেয়ালের নিচে দিয়ে এক যুবককে ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে র্যাব সদস্যরা। এসময় ওই যুবককে চ্যালেঞ্জ করা হয়। যে পথ দিয়ে যুবক এসেছিল সেই পথ দিয়ে পালানোর সময় সে বিস্ফেরণ ঘটায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জায়গার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বোম ডিসপোজাল ইউনিউ আনা হয়েছে। এখানে কারও কোনও আশঙ্কা নেই সবাই নিরাপদ আছেন। সেটা নিশ্চিত করতেই তাদের আনা হয়েছে। পুরো জায়গা সুইপ করছে সিটিটিসি ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। ঘটনাস্থল থেকে কোনো বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়নি। যেহেতু একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং মৃতদেহ পড়ে আছে, কাজেই তার শরীরের আর কোনও বিস্ফোরক বাঁধা আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতেই বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে আনা হয়েছে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের একদিন পর এ ঘটনা ঘটলো।