দেশের খবর: কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসন ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ভূস্বর্গখ্যাত উপত্যকাটির শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে একটি মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে জাতীয় শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সেখানে তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে ‘আজাদি’ ‘আজাদি’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তারা কাশ্মীরে সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা চালু ও কাশ্মীরিদের ওপর ভারতের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
এর আগে গত সোমবার একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার থেকে কারফিউ চলছে কাশ্মীরে। সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ভারতের অধীনে থাকা জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৩০০ রাজনৈতিক নেতাকে বন্দি করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে আছেন রাজ্যটির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহও।
কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক দল ও গোষ্ঠীর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে কয়েক ঘণ্টার জন্য গ্রেফতার করা হলেও পরে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ফলে ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপদটির মানুষগুলো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরে টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর এখন ক্রোধে ফেটে পড়েছে।
কাশ্মীরে ভেতরেও কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। চলমান পরিস্থিতি চরম সংকট তৈরি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।