বিদেশের খবর: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর একটি কলেজসহ পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিদ্রোহীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীর সদস্য।
সেনা মুখপাত্রের বরাত দিয়ে টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, দেশটির উত্তরাঞ্চলের সামরিক কলেজসহ সরকারের পাঁচ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় তিনটি বিদ্রোহী সংগঠনের জোট নর্দান অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। অভিজাত সামরিক কলেজ ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল অ্যাকাডেমিতে হামলার ঘটনা গত কয়েক দশকে এই প্রথম।
কয়েক দশক ধরেই শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলোর অধিক স্বায়ত্বশাসনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী এখানে লড়াই করছে।
রাজ্যের পায়িন উ লউয়িন শহরে ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল অ্যাকাডেমিতে ও অপর চারটি জায়গায় হামলার দায় স্বীকার করেছে ওই অঞ্চলে তৎপর বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট নর্দান অ্যালায়েন্স।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তুন তুন নাইয়ের বরাত দিয়ে রয়টাস জানিয়েছে, নাউং চো শহরে গোকটেক ভায়াডাক্ট রেলওয়ে সেতুর কাছে সৈন্যরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে পার্বত্য এই রেলসেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বিদ্রোহীরা আরেকটি সেতু ধ্বংস করার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশের একটি দফতরও পুড়িয়ে দিয়েছে।
এ হামলার দায় স্বীকার করে শান রাজ্যের পালাউংয়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মুখপাত্র মং এইকে কিয়াও জানিয়েছেন, টিএনএলএ, আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কোনো চুক্তি সই করেনি।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলে সামরিক চাপ কমানোর উদ্দেশে হামলা চালানো হয়েছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিএনএলএ জানায়, তারা আগস্টের শুরুতে শান রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ১৪টি জায়গায় সংঘর্ষে জড়ায়। আর গত মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০। যদিও সেনাবাহিনী শান রাজ্যের পাঁচটি সামরিক এলাকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তা মানছে না সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলো।
শান রাজ্যের ওই তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে সামরিক অভিযান না চালানোর আহ্বান জানিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উদ্দেশে একটি যৌথবিবৃতি দেয়।
তাতে বলা হয়, এসব এলাকা দখলের চেষ্টা করা হলে গৃহযুদ্ধের দায়ভার সেনাবাহিনীকেই নিতে হবে।