খেলার খবর: গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ সেশন কিংবা আজ পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি যেন গতকাল থেকেই বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে ব্যাটিং করে যাচ্ছিল।
আজ প্রায় পুরো দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শেষ বিকেলে শুরু হয় খেলা। ১৮.৩ ওভার টিকতে পারলেই ম্যাচটা ড্র করতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় যেন বৃষ্টিও লজ্জা পেল! রশিদ খানের ঘূর্ণিবলে ১৭৩ রানেই প্যাকেট হয়ে গেল সাকিব অ্যান্ড কোং। ২২৪ রানের বিশাল জয় পেল আফগানিস্তান।
আজ পঞ্চম দিন মধ্যাহ্ণ বিরতির পর প্রথমবারের মতো খেলা শুরু হলে ১৩ বল পরেই আবার নেমে আসে বৃষ্টি। ওই সময়ে বাংলাদেশ ৭ রান সংগ্রহ করে। এরপর বিকাল ৪:২০ এ পুনরায় খেলা শুরু হয়। শুরুতেই জহির খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৪৪)। টিকে থাকার লড়াই করতে করতে ১২ রানে রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউ হন মেহেদী মিরাজ।
রিভিউ নিয়ে কোনো লাভ হয়নি। ফিরতি ওভারে এসে তাইজুল ইসলামকে (০) লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন আফগান অধিনায়ক। এই বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার স্বীকৃত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারকে (১৫) ইব্রাহিম জারদানের তালুবন্দি করতেই শুরু হয়ে যায় আফগানদের বিজয়োল্লাস।
গতকাল রবিবার ৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস সূচনা করেন লিটন দাস আর সাদমান ইসলাম। শুরুটা মোটামুটি ভালো হলেও ৩০ রানের জুটি জহির খানের বলে লিটন দাসকে (৯) দিয়ে পতনের শুরু। একে একে ফিরে যান তিনে নামা মোসাদ্দেক হোসেন (১২), মুশফিকুর রহিম (২৩), মুমিনুল হক (৩), মাহমুদউল্লাহ (৭)। ওপেনার সাদমান চেষ্টা করেছিলেন। তার ১১৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস থামে মোহাম্মদ নবির বলে।
এই ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান আর চায়নাম্যান বোলার জহির খান। ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ৪:৪০ মিনিটে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ না হলে হয়তো কালই পরাজয় দেখতে হতো সাকিবদের। সাকিব ৩৯* আর সৌম্য ০* রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা আফগানিস্তান ২৬০ রানে অল-আউট হয়। এর আগে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে ২০৫ রানেই অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। তাছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ চতুর্থ ইনিংসে কখনোই রান তাড়া করে জিততে পারেনি।