আবু ছালেক : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে নজরুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলামের জন্ম উত্তর ফিংড়ী গ্রামে। ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি পিত্রালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল জব্বার ও মাতার নাম রিজিয়া সুলতানা। সাতক্ষীরা কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন, কলেজের ছাত্র সংসদের কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। ১৯৯২ সালে তিনি ফিংড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাতা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। নজরুল ইসলাম আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালে। ১৯৯৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দলকে গড়ে তোলেন মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে। ১৯৯৭ সালে আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে পরাজয় বরণ করলেও তিনি দলের ভিত্তি মজবুত করেছেন। ২০০১ সালের পয়লা অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে অংশগ্রণি করেন।কিন্তু হাল ছাড়েননি নৌকার। শক্তহাতে নৌকার হাল ধরে এগিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগকে। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জামায়াতের প্রার্থীকে পরাজিত করেন। নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর তিনি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সে কারণে তাকে সততার প্রতীক বলা হয়। অবহেলিত সাতক্ষীরা উপজেলার প্রত্যেকটি জনপদকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তলিার চেষ্টা করেন।
২০০৪ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে৭ ফেব্রুয়ারি তিনি পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবিরের নাশকতার বিরোধী রাজপথে তার ভূমিকা দলকে প্রেরণা দিয়েছিল।
তিনি রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাত থেকে গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি পদক। এছাড়া তিনি কাজী নজরুল স্বর্ণ পদক’ কবি জসিম উদ্দীন পদক’ মাদার তেঁরেসা পদকসহ অসংখ্য পদক ও পুরস্কার পেয়েছেন। জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, পাঠাগারসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করে সাতক্ষীরাকে আলোকিত করেছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়ন করছেন, যে ধারা বর্তমানে অব্যাহত আছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী এবং দলকে আরও শক্তিশালী, আরও গতিময় করার জন্য কাজ করছে সার্বক্ষণিকভাবে। সাথে সাথে জেলা পরিষদের সকল কাজ করছে দায়িত্ব সহকারে। জেলা পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সময় সময় জারীকৃত পরিপত্র দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। জেলা পরিষদ এর স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন ও অধিকারে রাখার ক্ষমতা রয়েছে এবং পরিষদ এর নিজস্ব তহবিল রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নে আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে, সকলের সহযোগিতা আর দোয়া থাকলে আরও এগিয়ে যাবে কার্যক্রম, এটাই কমনা সর্বস্তর জনগণের।
জেলা পরিষদে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন নজরুল ইসলাম
পূর্ববর্তী পোস্ট