বিদেশের খবর: শহরের তরুণ প্রজন্ম ই-সিগারেটের দিকে ঝুঁকছে এমন কারণ দেখিয়ে ই-সিগারেট (ইলেকট্রিক সিগারেট) নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারত। নরেন্দ্র মোদী সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে তামাক-লবি ও সিগারেট সংস্থাগুলোর জয় হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত, ই-সিগারেট বন্ধে অধ্যাদেশ জারি হবে। দেশে ই-সিগারেটের ব্যবসা, বিক্রি বা বিপণন করলে প্রথম বার অপরাধে এক বছরের জেল বা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা দু’টি শাস্তিই হতে পারে। দ্বিতীয় বার ওই অপরাধ করলে সাজা হতে পারে ৩ বছর জেল ও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সম্প্রতি ই-সিগারেটের উপরে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তা নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে গঠিত হয় মন্ত্রিগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেমকে (এন্ডস) সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকারক বিকল্প হিসেবে দেখা হলেও, এখন দেখা যাচ্ছে, তা নয়। এতে নিকোটিনের নেশা তৈরি হচ্ছে। অনেকে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ বা ‘কুল’ হিসেবে দেখে ব্যবহার করতে শুরু করছেন। তারপর নেশায় জড়িয়ে পড়ছেন।’
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, দেশে তামাক শিল্পে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। সিগারেট, তামাকের উপরে কর থেকে সরকারের বার্ষিক আয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। রফতানি থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা আসে। কিন্তু যারা ই-সিগারেট আমেরিকা-চিন থেকে আমদানি করছেন, ব্যবসা করছেন, তাদের কোনও লাইসেন্স নেই। কোনও রাজস্ব আয়ও হয় না।