দেশের খবর: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)। চিঠি পাওয়ার পর দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে হিসাব জব্দ করার বিষয়ে চিঠি পাঠায় বিএফআইইউ।
এরআগে, রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুবলীগের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজ ও রিমান্ডে থাকা যুবলীগের নেতা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে বিএফআইইউ। একইসঙ্গে তাদের স্ত্রী, মা বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য যেকোনও নামে হিসাব থাকলে তা-ও স্থগিত করা হয়েছে। অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় এসব হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবের সব ধরনের লেনদেন স্থগিত করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যাদের নাম আসছে তাদের সবার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার ও আগের দিন রবিবার ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, জি কে শামীম, তার মা-বাবা ও স্ত্রীর নামের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য অবরুদ্ধ রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালায় র্যাব। ওই রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজকে ২০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) র্যাব আটক করে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন