খেলার খবর: টেস্ট চ্যাম্পনশিপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানের। যদিও গতকাল বিরাট কোহলির বক্তব্যে বোঝা গিয়েছিল, ভারতের পরিকল্পনার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলেন দ্য ফিজ। কিন্তু তাকেই আজ একাদশে না দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে। ভারতীয়রা তো বটেই, অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীও আশ্চর্য হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান হিসেব করলে মুস্তাফিজের সুযোগ না পাওয়ারই কথা।
দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মহীনতায় ভূগছেন মুস্তাফিজ। আগের সেই বুদ্ধিবৃত্তিক বোলিং আর দেখা যায় না। শুরু হয়েছিল সমালোচনা। এবার তাকে বাদ দেওয়ায় বাঁহাতি পেসারের ফর্ম নিয়ে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাও স্পষ্ট হলো। ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে একদমই নির্বিষ ছিলেন মুস্তাফিজ। বেদম মার খেয়েছেন। রান দিয়েছেন প্রাণখুলে! শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়, নিজের সবশেষ ৩ টেস্টে নিতে পেরেছেন কেবল ২ উইকেট।
সর্বশেষ ১২ মাসে ১৯ ওয়ানডেতে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যার অধিকাংশই দলের কোনো কাজে আসেনি। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে তাকেই দলের প্রধান স্ট্রাইক বোলার হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা হতে পারছেন না মুস্তাফিজ। সেইসঙ্গে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইকনোমি যেখানে ৫.২৪, সেখানে গত ১২ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৩৫! টি-টোয়েন্টিতে এই পরিসংখ্যান আরও করুণ। গত ১২ মাসে ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। ক্যারিয়ারের ইকনোমি ৭.৭৯ হলেও গত ১২ মাসের ইকনোমি হয়েছে ৯.২০!
বিশ্বের সবচেয়ে চোটপ্রবণ ক্রিকেটারদের একজন মুস্তাফিজ। সব মিলিয়েই আজ কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচকেরা। এটা মুস্তাফিজের জন্য একটা বার্তাও বটে। কোনো অধিনায়কই এখন তাকে প্রধান স্ট্রাইক বোলার হিসেবে ব্যবহার করেন না। তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা মানতে পারছেন না, দেশের প্রতিভাবান এই তারকা এভাবে শেষ হয়ে যাবেন। ফর্ম হারিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে ফিরে আসার ইতিহাস অনেক আছে। সাতক্ষীরা থেকে উঠে আসা ‘দ্য ফিজ’ সেই ইতিহাস নিজের জীবনে লিখবেন বলে আশা সবার।