দেশের খবর: বর্তমানে নানা অপকর্ম ঘটছে ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে। নানা গুজব ছড়ানো থেকে শুরু করে মানুষের ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ছড়ানোর মত অপকর্ম ঘটছে। এছাড়া হ্যাকিং ও স্প্যামিংতো আছেই। তাই সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। রোববার (২৪ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘উগ্রবাদ ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ইউটিউব-ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আইনের আওতায় এসেছে। আমাদের বিদ্যমান ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সংশোধন করে বাংলাদেশেও একই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বলেন, প্রতিবছর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফেসবুক-ইউটিউব বিপুল অঙ্কের টাকা একপ্রকার হাতিয়ে নিচ্ছে। যা বন্ধ হওয়া উচিত।
তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আমি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছি। যাতে ইউটিউব-ফেসবুকের আয়কে কীভাবে করের আওতায় আনা যায় তা জানতে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন ফেসবুক-ইউটিউবের বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখানে তাদের কোনো অফিস নেই। ইতোমধ্যেই আমরা ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে এখানে এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে মানহানিকর যেসব ঘটনা ঘটছে তা রোধে বৈশ্বিকভাবে একটি সিদ্ধান্তে আসারও পরামর্শ দেন তিনি। সিটিসিসির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সাইবার সুরক্ষার জন্য কাজ করছি। শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, সচেতনতা বাড়িয়ে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সংস্কৃতিমনা সহনশীল প্রজন্ম ও সাইবার এথিক্স প্রজন্ম গড়ে তুললে সাইবার ক্রাইম রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।