দেশের খবর: নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীকে বিএ (পাস) পরীক্ষায় জালিয়াতির করার দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এছাড়া অপসারণ করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকেও।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অভিমানসূচক একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বুবলী। যেখানে তিনি আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন, কিছুক্ষণ পরে আবার তা মুছেও ফেলেন।
পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইগন, আমার জানা মতে আমি ব্যাক্তিগতভাবে কারো সাথেই কোনদিন খারাপ আচরন বা সামাজিকতার যে আন্তরিকতা সেটা কমতি রাখিনি কোনদিন, যখন নরসিংদী ছিলাম মেয়র লোকমান হোসেনের সহধর্মিণী হিসেবে আপনারা ওনার মারা যাবার পর আমার অকালে বিধবা হওয়া লড়াই সংগ্রামীজীবন ছেলে মেয়ে ছোট তাদের নিয়ে একা লড়াই দেখে আফসোস সান্তনা সবই দিতেন, সবাই হায় আফসোস করতো কিন্তু ধারে ভারে কেউ ছিলো না আমার। যুদ্ধ জয় কি জিনিস জানতাম না তবে ছুটতে হবে উপায় নাই বাজার করা থেকে শুরু করে ছেলে মেয়ে নিয়ে কতটা লড়েছি এখনো তারা ছোট, নাই বা বললাম, কেন যেনো এখন সব চাইলেই লিখতে পারি না কারন একটা সংকচের জায়গাতে অবস্থান করছি। আমি সংসদ সদস্য হবার পর আলহামদুলিল্লাহ্ স্যালারি দিয়ে ছেলে মেয়েকে ভালো স্কুলে পরাই যাবতীয় নিজ খরচ বহন করি, সামান্য সঞ্চয় করছি এখান থেকেই যাতে করে ৫ বছর পর এটা আমাদের কাজে লাগে, আপনাদের অনেক লেখা আমার চোখে পড়ে যারা আফসোস করতেন আজ তারা টেনে হিচঁড়ে সংসদ থেকে নামাতে মরিয়া হয়ে লিখছেন। ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার হিসেব রাখিনি নরসিংদীবাসিকে ভালোবেসেছি কিছু অপশক্তি পেছনে লেগেছে, কতকিছু ঘটনা দেশে ঘটে এত লেখালেখি কেউ করে না আপনারা এটা নিয়ে এমনভাবে লিখছেন যেনো আমার জন্য ৫০ জীবন শেষ হয়ে গেছে, লুটপাট হয়েছে, সর্বনাশ হয়েছে অনেকের। আমার যদি কিছু হয় দুই বাচ্চা নিয়ে সুইসাইড করি খুশি হবেন তো আপনারা? ঠিকাছে আপনাদের খুশি আমার খুশি। ভালো থাকুক। আমার সাংবাদিক ভাইগনেরা, আল্লাহ্ ভালো রাখুক আপনাদের। আমার এ জীবনে পাওয়ার চাইতে মনের দুঃখে মরেছি অনেকবার, বারবার মরার চাইতে একবারে মরে গেলেই ভালো মনে করি।’