বিদেশের খবর: সোমবার ভারতে লোকসভায় পেশ করা হয় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। আলোচনার জন্য বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। কিন্তু ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেও লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিলটিকে ‘মুসলিমবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলো। সোমবার সকাল থেকেই আসামসহ একাধিক রাজ্যে এই বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিক্ষোভকারীর। আসামে প্রতিবাদের নেতৃত্বে ‘অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ বা আসু। তাদের দাবি, এই বিলটি আসাম চুক্তির অবমাননা। ত্রিপুরার রাজধানী অগরতলাতেও চলছে প্রতিবাদী কার্যসূচি। দুই রাজ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।
গুয়াহাটিতে ছাত্র সংগঠন ‘আসু’-র নেতৃত্বে চলেছে বিক্ষোভ মিছিল। পাশাপাশি কংগ্রেসও সুর চড়িয়েছে। তবে এর আগে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ’ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনে পালটা মিছিল বের করে। মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামেও কেন্দ্রের এই বিলটির বিরুদ্ধে সুর চড়ছে।
এদিক, সোমবার ও মঙ্গলবার টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে আসুসহ একাধিক সংগঠন। ফলে স্বভাবিকভাবেই বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। রাজ্যের শাসকদল বিজেপি ও শরিক আসাম গণপরিষদের বিরুদ্ধেও আছড়ে পড়েছে জনরোষ। গুয়াহাটিসহ একাধিক জায়গায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
মেঘালয়ের রাজনৈতিক দল এনএনপি থেকে মিজোরামের এমএনএফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিজপির বা হিমন্ত বিশ্বশর্মার মস্তিস্কপ্রসূত ‘নর্থইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ বা ‘নেডা’র শরিক হলেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটিকে কোনোভাবেই সমর্থন করবে না তারা।