বৈশাখ আসতে এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি কিন্তু এখনই ঠিক যেন বৈশাখেরই দাবদাহতা। চারপাশের ভ্যাপসা গরমে টিকে থাকা দায়। তাই বলে কি থেমে থাকবে জীবন পরিক্রমা? চেষ্টা করতে হবে নিজেকে ভালো রাখার। আসুন জেনে নিই এই গরমে কী খাবেন আর কী খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
প্রচুর পানি খান
গরমকালে সুস্থ্য থাকার অপরিহার্য উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। সারা দিনই বারবার পানি পান করতে হবে। গরমে প্রচুর ঘাম হয়, কিছুক্ষণ কাজ করলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে শরীর যেন কোনভাবেই পানিশূন্য না হয়ে পড়ে।
জাঙ্কফুড একদম নয়
ভাজাপোড়া, তেল-চর্বিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত গরমে তৈলাক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গরমে ফল খান
গ্রীষ্মকালে ফলের প্রাচুর্য থাকে। পাওয়া যায় প্রচুর পাকা ফল। শরীর ভালো রাখতে হলে বেশি করে মৌসুমী ফলমূল খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ তো গরমকালের খাবার হিসেবে অসাধারণ। একটি দারুণ তথ্যও জেনে নিন, যদি সারাদিন আর কিছু না খেয়ে কেবল তরমুজ খেয়েই কাটান তাহলে ওজন এক দিনেই কমে যাবে অনেকটা!
কোমল পানীয় বর্জন করুন
আমরা গরমকালে সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করি তা হলো বেশি বেশি কোমল পানীয় খাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এগুলো আসলে পেটকে ঠাণ্ডা করার পরিবর্তে শরীর গরম করে দেয়। এর ফলে এগুলো খেয়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। কোমল পানীয় সাময়িক তৃপ্তি দিলেও তা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন কোমল পানীয়র বদলে কেবল পানি পান করার। এছাড়াও লেবুর শরবত ও অন্যান্য টাটকা
দুগ্ধজাতীয় খাবার কম খাবেন
গরমকালে ভালো থাকতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকা থেকে দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। যেমন দুধ, পনির, দই ইত্যাদি। কারণ এসব খাবার শরীরে তাপ উৎপাদক। তাই গরমের সময় এই জাতীয় খাবার যত কম খাবেন ততই ভালো।
সুযোগ পেলেই সালাদ খান
যারা দুপুরে ভারী খাবার গ্রহণ করেন, তাদের জন্য ভাত, প্রচুর শাকসবজি, ছোট-বড় মাছের হালকা রান্না, ডালসহ গোশত, ডিম অভ্যাস মতো পরিমাণে খেতে পারেন। যা-ই খান না কেন সালাদ কিন্তু খেতেই হবে। শুধু দুপুরের খাবারে নয়, রাতের খাবারের সাথেও সালাদ খেতে পারেন কিংবা শুধু সালাদও খেতে পারেন।
আমিষ কম খেলে ভালো
মাংস, তা সে যতই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হোক না কেন; গরমকালের জন্য সঠিক খাবার নয়। বিশেষ করে তন্দুরি, মশলাদার মাংস তো এ সময়ে স্বাস্থ্যকর নয়ই। এমনকি মাছ, তা সে পুষ্টিতে ভরপুর সামুদ্রিক মাছ হলেও যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। কারণ আমিষ জাতীয় এই খাবার দেহকে উত্তপ্ত করে, ফলে ঘাম বেশি হয় এবং খাবার হজমে সমস্যা হয়।
খেতে হবে শাক-সবজি
গরমকালে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে। এখন লাউ পাওয়া যায়। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে, সবজি হিসেবে লাউ বা এ জাতীয় শাক-সবজি খেতে পারেন। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ আমিষের উপস্থিতিও নিশ্চিত করুন। না হলে আপনি কাজে-কর্মে শক্তি পাবেন না।
সস ও পনিরকে না বলুন
যেকোনো ধরনের সস দিয়ে তৈরি খাবার কিংবা শুধু সসও এ সময়ে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ নয়। বিশেষ করে, পনিরের সস পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। সসের সাথে দেহে প্রবেশ করে প্রায় সাড়ে ৩০০ ক্যালরি এবং এর ফলে আপনার দেহে ক্লান্তি আসবে, শরীর ভার ভার মনে হবে। কিছু সসে অতিরিক্ত মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট এবং লবণ থাকে। তাই সস না খাওয়াই ভালো।