দেশের খবর: রাজাকারের তালিকায় মুক্তযোদ্ধার ছড়াছড়ি। তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেছেন, আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি।
মন্ত্রী বলেন, সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একই নামে অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা তো হতে পারে না। যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল। তিনি বলেন, যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব।
উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপুর নামসহ বেশ কজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় দেখে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। কেউ কেউ দায়িত্বে অবহেলার কারণে মুক্তিযুদ্ধ: বিষয়ক মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন।
সোমবার মনীষা চক্রবর্তী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, তার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা। ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন। অথচ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার। এছাড়া তালিকায় তার ঠাকুমার নামও প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি লিখেছন, আমার ঠাকুরদা এড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মজিবুল হক নয়ার নাম রাজাকারের তালিকায় এক নম্বরে দেখে অবাক হয়েছেন তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন।