খেলার খবর: লাল-হলুদ ব্যানার ফুলের মতো ফুটে ছিল ক্যাম্প ন্যুর গ্যালারিতে। বার্সেলোনাকে সমর্থন করতে এসেছেন। সঙ্গে কাতালুনিয়ার স্বাধীনতাকামী জনগণ তুলে ধরতে এসেছেন নিজেদের দাবি। ‘সিট এন্ড টক’ কিংবা ‘ফ্রিডম’ লেখা ব্যানার সেই বার্তাই দেয়।
স্প্যানিশ লিগ তো বটেই ইউরোপীয়ান লিগের অন্যতম সেরা ম্যাচ এল ক্লাসিকো। সেই ম্যাচ বার্সার ঘরের মাঠে যখন সময় মতো হয়না তখন বুঝতে হয় সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে আগুন পর্যন্ত জ্বালিয়েছেন ভক্তরা। তবে স্টেডিয়ামে আগুনে লড়াইয়ে গোল শূন্য সমতা করেছে দু’দল।
এই সমতায় বার্সার বিপক্ষে সাত ম্যাচ জয়হীন থাকল রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানের সুরহাও পয়েন্টে এগিয়ে থেকে হলো না কোন দলের। তবে দারুণ সব আক্রমণ করে জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি করে লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের আগে মেসি বলেছিলেন, ক্যাম্প ন্যুতে রিয়াল ভিন্ন ফুটবল খেলে। রক্ষণাত্মক ফুটবলের ছকে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে। কিন্তু জিনেদিন জিদান সেটা ভুল প্রমাণ করেন এ ম্যাচে।
বার্সার মাঠে বেশি আক্রমণ করে রিয়ালই। প্রথমার্ধে ১২ আক্রমণ করে ২০০৩ মৌসমের পর এল ক্লাসিকো ইতিহাসে প্রথমার্ধে শট নেওয়ার রেকর্ডও গড়ে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনা কাজের কাজটা করতে পারেনি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গ্যারেথ বেল অবশ্য একবার জালে বল পাঠান। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ে তা বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচে অবশ্য দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন রিয়ালের তরুণ মিডফিল্ডার ফেদে ভালভার্দে। গোলের লক্ষ্যে দূর থেকে দারুণ ক’টা শটও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু বার্সার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান ছিলেন নিজের চেনা রূপে। ভালভার্দের তো বটেই বেল-বেনজেমাদের আরও কিছু সুযোগ বানচাল করে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাই বার্সার মাঠ থেকে জয় বঞ্চিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালের।
কাতালানরাও যে গোল করার সুযোগ পায়নি তা অবশ্য নয়। স্বয়ং মেসি গোল করার সহজ এক সুযোগ নষ্ট করেছেন। না হলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত। গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করে এল ক্লাসিকোর লড়াইয়ে চারশ’ গোল করার সুযোগ হারিয়েছে বার্সা। তবে রামোস গড়েছেন রেকর্ড। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে রেকর্ড ৪৩ ম্যাচ খেলে ফেললেন তিনি।