অনলাইন ডেস্ক :ভারতীয় কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইট করে বার্তা পাঠালেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওপর হওয়া পুলিশি হেনস্তার প্রশ্ন তুলে এদিন তার মন্তব্য, “স্যার, এভাবে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হয় না।”
রবিবার সিরিজ টুইট করে ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “যদি গান্ধী-নেহেরু পরিবারের মেয়ের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভেবেই আশঙ্কিত, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হবে! গোটা ঘটনার নিন্দা করে তিনি লেখেন, “প্রথমে আপনি ভিআইপিদের নিরাপত্তা কমাচ্ছেন আর ধীরে ধীরে আপনার নিরাপত্তা বাড়াচ্ছেন। তারপর গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি বলয় সরিয়ে নিচ্ছেন। আর এখন ইউপি পুলিশ, আপনার দলের সরকারের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে লজ্জাজনক ব্যবহার করছে।”
এনডিটিভির খবর, এর আগে শনিবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন লখনউতে আটক, প্রাক্তন আইপিএস এসআর দারাপুরীর বাসভবনে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে দু’বার থামায়। প্রথমবার তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের আটকে তাঁকে দলীয় কর্মীর স্কুটারে গন্তব্যে যেতে বাধ্য করেন। ফের দু’ কিলোমিটার পর তাঁকে আটকানো হয়। সে সময় কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁকে ঘিরেও ধরে এবং নারী পুলিশকর্মীরা রীতিমতো ঘাড় ধরে তাঁকে হেনস্তা করেন। এরপর তিনি হেঁটে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন। এই অভিযোগের পর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যাতে দেখা গেছে, হেঁটে যাওয়ার পথে কয়েকজন নারী পুলিশকর্মী তাঁকে আটকান। সেই সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং কংগ্রেস সমর্থকরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে শুরু হয় দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা। তারপর কোনো মতে বাধা পেরিয়ে গন্তব্যের দিকে হাঁটা শুরু করেন কংগ্রেস নেত্রী।
এ বিষয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানান, “বাকবিতণ্ডান চলাকালীন ঘিরে থাকা এক নারী পুলিশকর্মী আমার ঘাড় ধরেন। আর একজন আমাকে ধাক্কা দেন, আমি মাটিতে পড়ে যাই। এরপর ওরাই আমাকে ঘাড় ধরে তোলেন এবং এগিয়ে যেতে বাধা দেন। কিন্তু আমি অবিচল ছিলাম, গন্তব্যে যাবই। পুলিশ আগ্রাসনের মুখে পড়া সকল জনগণের পাশে আমি এভাবেই দাঁড়িয়েছি। এটাই ছিলো আমার সত্যাগ্রহ।”
এদিকে এই ঘটনার পর লখনউয়ের এসএসপি কলানিধি নৈথানি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত নারী পুলিশকর্মী অর্চনা সিং, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কর্তব্যরত অবস্থায় সেদিন তিনি শুধু তাঁর কর্তব্য করেছিলেন। এমনটাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়েছেন বলে দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।