দেশের খবর: আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মদিন। রাষ্ট্রপতির ৭৭তম জন্মদিন আজ। কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুর গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হামিদ। তার বাবা মো. তায়েব উদ্দিন ও মা মোছা. তমিজা খাতুন। তিনি তিন ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের বাবা। আবদুল হামিদ বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি। তিনি ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই মো. আবদুল হামিদ সাধারণ মানুষের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার প্রিয় সংগঠন ছিল ছাত্রলীগ। ১৯৫৯ সালে কিশোরগঞ্জ মহকুমা শহরে ছাত্রলীগের হাল ধরেন আবদুল হামিদ। ১৯৬১ সালে কলেজের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি যোগ দেন স্বৈরশাসক আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে। তখন তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকার হিসাবে সংসদ পরিচালনা করেন আবদুল হামিদ। আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন।অর্ধশতকের অধিককাল ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এ মানুষটি চরম দুর্দিনেও তার আদর্শ ও বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হননি। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও জীবনদর্শনকে আত্মস্থ করে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আপন যোগ্যতাবলে হয়ে উঠেছেন রাজনীতির এক জীবন্ত কিংবদন্তি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি সর্বমহলে জনপ্রিয়।