নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘোনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমাবেশে আ.লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মোশা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগে ঢুকে দলের ও সরকারের সর্বনাশ করছে। তাকে অবিলম্বে দল থেকে বহিস্কার করতে হবে।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়নবাসী। চেয়ারম্যান মোশা চোরাচালান, চাঁদাবাজি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী, কর্মকা-ের খতিয়ান তুলে ধরে অবিলম্বে তাকে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কারের দাবিতে সমাবেশ করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। রবিবার বিকেলে ঘোনা বাজারে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিবাদ সমাবেশ। চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশার বহিস্কারের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা ইউনিয়ন।
ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রহিল উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। প্রতিবাদ সমাবেশে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশাকে আজীবন অবাঞ্চিত ঘোষাণা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলীসহ অন্যান্য বক্তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মঈনুল হাসান, সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান, শাজাহান কবির, যুবলীগের ইউনুস আলী, কামাল হোসেন, রাজিব হায়দার, আবু বকর সিদ্দিক, আলমগীর ঢালী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান মোশাকে অবিলম্বে চিরতরের জন্য আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার করা না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আর সেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না।
বক্তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান মোশা একজন বর্ণচোরা প্রাণী। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের হয়। ইতোপূর্বে সে জামায়াতের এমপি মাওলানা আব্দুল খালেকের সাথে তালে তাল দিতো। বর্তমানে আওয়ামীলীগে ঢুকে দলের ও সরকারের সর্বনাশ করছে। দলের নিবেদিত সৈনিকদের উপর হামলা মামলা ও হয়রানি করছে। ঘোনায় সে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করছে। ঘোনার স্বৈরশাসক মোশাকে আর এক মুহুর্তও দেখতে চায় না এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান মোশার দা বাহিনীর অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ ঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিককে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মোশার নেতৃত্বে তা দা বাহিনী। এছাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউনুস আলী ও তার পিতা আব্দুর রহিমকেও কুপিয়ে জখম করে মোশার দা বাহিনী। এ ঘটনার পর ইউনিয়বাসি চেয়ারম্যান মোশাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন এবং তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে সমাবেশ করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট