তালা প্রতিনিধি : তালার খলিষখালী অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমন্টে কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত এবং প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করার অভিযোগে মুনতাসিম সরদার (২৩) নামের এক যুবককে ৯ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তাকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফরিদ হোসেন এর বিজ্ঞ আদালত মুনতাসিমকে এই দন্ড প্রদান করেন। দন্ডিত মুনতাসিম তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার বয়ারডাঙ্গা গ্রামের মো. লিয়াকত আলী সরদারের পুত্র। সূত্রে জানাগেছে, কলেজে যাতায়াতের সময় মুনতাসিম সরদার প্রতিনিয়ত ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করা সহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে প্রতিবাদ করলে মুনতাসিম ওই ছাত্রীকে লাঞ্চিত করে। এঘটনায় ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারার অপরাধে বিজ্ঞ ভ্রাম্যমান আদালত মুনতাসিমকে জরিমানা সহ কারাদন্ড প্রদান করেন। তবে, কলেজ ছাত্রীকে কবে, কখন এবং কোন স্থানে লাঞ্চিত করা হয়েছে-তা ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের অভিযোগ মতে, শুক্রবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাবার সময় মুনতাসিম ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত সহ শ্লীলতাহানি করে। এসময় পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকায় পরিচালিত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালত মুনতাসিমকে আটক ও কারাদন্ড প্রদান করেন। এদিকে, মুনতাসিমের বিরুদ্ধে আনিত এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। মুনতাসিমের ভাই অহিদুজ্জামান জানান, কলেজ ছাত্রী তনিমা খাতুনের সাথে মুনতাসিমের ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এর ইমধ্যে তনিমা অন্য ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুললে, মুনতাসিমের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে তনিমার পরিবার এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত তাদের এক আত্মীয় প্রভাব খাটিয়ে মুনতাসিম গ্রেফতার করায়। অহিদুজ্জামান আরো জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে তালা থানা পুলিশ মুনতাসিমকে গ্রেফতার করে এবং ওইদিন সন্ধ্যায় পাটকলেঘাটা থানায় প্রেরণ করে। শুক্রবার দুপুরে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ মুনতাসিমকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ফরিদ হোসেন উক্ত সাজা প্রদান করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট