বিদেশের খবর: ভারতে বিজেপির সেনাপতির আসনে এবার বসতে চলেছেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (জেপি নাড্ডা)। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই অমিত শাহের জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন তিনি।
সোমবার সকালেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, নাড্ডার দলের রাশ হাতে নেওয়াটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
বিজেপি প্রধানের পদে নাড্ডাকেই দীর্ঘদিন ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের পছন্দ হিসেবে দেখা গিয়েছে। খবর এনডিটিভির
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহকে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেপি নাড্ডার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে, আরএসএসের সান্নিধ্য এবং তার ভালো ভাবমূর্তিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি এবার তাকেই দলের মুখ করতে আগ্রহী।
২০১৯ সালের জুনে দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জেপি নাড্ডা।
সোমবার বিজেপির কেন্দ্রীয় সদর দফতরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন ঘিরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান থেকেই জে পি নাড্ডাকে দলের তরফ থেকে বিজেপি সভাপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দলের সভাপতি পদে জেপি নাড্ডার নাম প্রস্তাব করবেন দলের প্রাক্তন প্রধান এবং সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা। অর্থাৎ অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নীতিন গডকড়ি তার নাম প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে। এরপর বিজেপির জাতীয় কাউন্সিলের অন্য সদস্যরা এই প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির প্রধান রাধা মোহন সিং প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে পুরো প্রক্রিয়াটির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
১৯৯৩-২০১২ পর্যন্ত জেপি নাড্ডা তিন মেয়াদে হিমাচল প্রদেশের বিধায়ক ছিলেন।
তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও ছিলেন। ২০০৮-২০১০ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য এবং তারপরে বন, পরিবেশ ও বিজ্ঞান মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন নাড্ডা।
পরে জেপি নাড্ডা ২০১০ সালে দিল্লিতে চলে আসেন এবং বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১২ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৪ সালের মে মাসে, মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার অংশ হন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। জুন ২০১৯ এ, তাকে বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।