আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, দুই দেশ সীমান্ত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর চলতি মাসেই সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে করবেন তিনি।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, আমরা কিছু সীমান্তে একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা কাশ্মীর নিয়ে এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছি। যদি সাহায্য করতে পারি, আমরা অবশ্যই করবো। আমরা বিষয়টি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বক্তব্যে কোন সীমান্তের কথা বলেছেন তা পরিষ্কার না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওঠা সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগের বিষয়েই বলেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খান বলেছেন, আমাদের জন্য এটা (ভারত) অনেক বড় একটা ইস্যু। আর অবশ্যই আমরা আশা করি, এটা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র তার ভূমিকা পালন করবে। কারণ এটা আর কোনো দেশ পারবে না।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালেও ট্রাম্পকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব মেটাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্রাম্প এতে সম্মতি জানালেও ভারত একাধিকবার তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। দেশটির দাবি, ভারত-পাকিস্তান সংকট মেটাতে তৃতীয়পক্ষের প্রয়োজন নেই, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব।
এছাড়া ভারত সফরকালে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে যাওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। এক প্রশ্নের জবাবে দাভোসে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের কথা ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা এখন দেখা করছি। তাই প্রকৃতপক্ষে সেটার আর দরকার নেই। কিন্তু দুই পক্ষের বিষয়ে বলতে চাই- আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক। আমরা খুব ভালো সম্পর্ক পার করছি। পাকিস্তানের সঙ্গে এখন যতটা কাছাকাছি আছি, আমি বলতে চাই আগে কখনোই তেমনটা ছিলাম না।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, যদিও আমি বলিনি দেশ হিসেবে আমরা সবসময় কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তের সম্পর্কের কারণে আমরা সেভাবে আছি। সুতরাং এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের এটাই হবে প্রথম ভারত সফর। তবে সেটা নির্ভর করছে তার অভিশংসন শুনানির ফলাফলের ওপর। আজই এই শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।