আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনকে ছুটি ঘোষণা করলো পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের সরকার। রাজ্যটির নব-নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নেতাজির ১২৩তম জন্মদিন।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘কর্মভূমি’ হচ্ছে ঝাড়খন্ড। দেশের সেবায় নিয়োজিত নেতাজি এই রাজ্যে থেকেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই তার জন্মদিনে রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নেতাজির জন্মদিনে পশ্চিমবঙ্গে ছুটি পালন করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এই বিপ্লবী নেতার জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা না করায় বারবার সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা না করা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপিকেও আক্রমণ করেন তিনি।
গত বছর বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে দেশের নেতা হিসেবে মনে করে না বিজেপি, তাই হয়তো কেন্দ্রীয় সরকার ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেনি।’ তবে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছরের ২৩ জানুয়ারি সাড়ম্বরে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালো ঝাড়খন্ড।
ঝাড়খন্ড রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর ও শিল্প শহর ধানবাদের ভাগা স্টেশনের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে নেতাজির নাম। স্টেশনটি থেকে স্বাধীনতার জন্য কাজ করেন তিনি৷ সেখানে নেতাজির অনেক পরিচিতজনও থাকতেন ৷ যারা নেতাজিকে অনেক সময়ই সাহায্য করতেন। ফলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েও পালিয়ে যেতেন।
বর্তমান উড়িষ্যায় ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম। তবে তার মৃত্যু একটি রহস্য। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই কিংবদন্তি নেতাজি নামিই সমধিক পরিচিত। টানা দুবার তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে গান্ধীর সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।