আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী ইরাকে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পর মার্কিন দূতাবাসের কাছেই এই বিক্ষোভ হয়। এর আগে প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোক্তাদা আল-সদর এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্যে ইরাকি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারাও রয়েছে। ইরাকে সাম্প্রতিক কালে এতো বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখা যায় নি।
গত ৩রা জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের একজন সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করার পর ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই হামলায় ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও নিহত হয়। ইরান সমর্থিত কাতাইব হেযবোল্লাহ মিলিশিয়া গ্রুপের একজন নেতা ছিলেন তিনি।
জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকদিন পরেই ইরানের সামরিক বাহিনী ইরাকে ইরবিল ও আল-আসাদ মার্কিন সৈন্যদের এই দুটো ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পরে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে এতে তাদের কেউ হতাহত হয়নি।
হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সামরিক বাহিনী তেহরানের কাছে ভুল করে ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভূপাতিত করে যাতে ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই বিক্ষোভ বড় ধরনের সমাবেশে রূপ নেয়। এসময় তাদের অনেকের হাতে ছিল ইরাকের পতাকা ও যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী প্ল্যাকার্ড। ইরাকে মার্কিন সৈন্য উপস্থিতির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয় তারা।
জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার কয়েকদিনের মধ্যেই ইরাকি পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয় যাতে সব বিদেশি সৈন্যকে ইরাক ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবি জানানো হয়। ইরাকে বর্তমানে পাঁচ হাজারের মতো মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের সঙ্গে যুদ্ধে করতে আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের অংশ হিসেবেই তারা সেখানে মোতায়েন রয়েছে।