আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির কুড়িকাহনিয়া গ্রামে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতা ও পুত্রসহ তিন জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে মিঠু গাজীর অবস্থা আশাংকা জনক হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলা প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদ্রাসার পিছনের রাস্তার উপরে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার থেকে জানাগেছে, একই গ্রামের কামেশ গাজীর পুত্র মনিগাজী (২৮)সহ তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি ও সেবন করে আসছিল। এতে এলকার উঠতি বয়সী যুব সমাজ নেশায় আশক্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নেশার নিয়মিত জোগাড় করতে বিভিন্ন বাড়ীতে চুরি করে এলাকা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করছে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের রফিকুলের পুত্র মিঠু গাজী (২৮) এসব ঘটনা প্রতিবাদ করায় মাদক বিক্রয়কারী মনি গাজী ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন
প্রতবাদকারী যুবক বাড়ী হইতে তালতলা বাজারের উদ্দেশ্যে কাজে রওনা হয়ে কুড়িকাহুনিয়া মহিলা মাদ্রাসার পিছনের রাস্তার উপরে পৌছালে কাশেম গাজীর পুত্র মনি গাজী ও তার সহযোগী আপন ভাই সিরাজুল গাজী (৩০), আরশাদ লস্করের পুত্র মারুফ গাজী (২৫), মৃত জলিল গাজীর পুত্র আলামিন গাজী (২১), মাতা হালিমা খাতুন (৪২), মনি গাজীর স্ত্রী মিনারা খাতুন (১৮) পথরোধ করে বলে শালাকে মাদক বিক্রি করার স্বাদ মিটিয়ে দে বলে
হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ীভাবে ধারালো ছুরি ও দা দিয়ে কোপ মারতে থাকে ও তার কাছে থাকা নগদ ২০হাজার টাকা সহ ১০হাজার টাকা মূল্যের একটি শ্যাম্পনি মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে জখমীদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে পুত্র মিঠু গাজীর আশাংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে আহত পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।