ন্যাশনাল ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে গলা কেটে হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীনন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কফিল উদ্দিন, আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো. শাহজালাল।
জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিমউদ্দিন মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা একটি নৃশংস ঘটনা। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিলউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে আসামিরা জড়িত আছে বলে আদালতে প্রমাণ হয়নি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চার দিন পর ২৫ মে নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত রয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।