তার ওজন প্রায় ১০০ কেজিতে পৌঁছে যাচ্ছিল। ওজন কমানোর জন্য এমন কিছু নেই যে, তিনি চেষ্টা করেনি। ডায়েট থেকে শুরু করে ওজন কমানোর জন্য সকল প্রকার যোগব্যায়াম ও করেছেন তিনি। কথা বলছিলাম ভারতীয় এক নাগরিক সুপ্রিয়া পান্ডে কে নিয়ে। কিন্তু অবশেষে তিনি অনলাইন পোর্টালের সাহায্যে নিজের অতিরিক্ত ওজনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি ভারতীয় একটি অনলাইন পোর্টালে মেন্টর হিজেবে নিযুক্ত হন। এরপর তার ওজন কমানোর সম্পূর্ণ কাহিনী তিনি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইম্স অফ ইন্ডিয়াকে জানান। সুপ্রিয়া পান্ডে তার সর্বোচ্চ ওজন দেখেছিলেন ৯৮ কেজি। সেখান থেকে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি এখন অনেকটা ফিট।
তিনি বলেন, আমি যখন আমার ওজন ৯৮ কেজি দেখলাম, তখন থেকে ওজন কমানোর জন্য পাগল হয়ে যাই। আমি তখন ক্রাশ ডায়েট থেকে শুরু করে ওজন কমানোর সকল ব্যায়াম করা শুরু করে দিয়েছিলাম। হাঁটাহাঁটি করাও শুরু করি, কিন্তু এতে ২-১ কেজি ওজন কমে আসলেও কিছু দিন পর আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতাম।
তখন আমি মনেপ্রাণে প্রতিজ্ঞা করি, আমার ওজন ১০০ কেজিতে পৌঁছানোর আগে এমন কিছু তো অবশ্যই করতে হবে যেন আমার ওজন কমে আসে। এসময় আমার জীবনে এক টার্নিং পয়েন্ট আসে। এসময় আমার এক বন্ধু জানায়, ফেসবুকে স্কোয়াড নামের এক গ্রুপ আছে যা মানুষকে তার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা দেয়। মানুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য প্রতিদিনের ডায়েট এবং ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা দেয়। মেন্টর পঙ্কজ ধুপের সাথে পরিচয় হবার পর আমি জানতে পারি আসলে কীভাবে চলাচল করলে এবং কি ধরণের ডায়েট মানলে আমার ওজন কমে আসবে।
আমার জন্মদিনে আমি কেক কেটেছিলাম কিন্তু সেই কেক খাওয়ার কোন ইচ্ছে হয়নি আমার। কারণ আমি এখন জানি স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা কতটুকু ভাল। ওজন কমানোর জন্য আমাদের শারীরিক কসরতের চেয়ে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা বেশি জরুরী। আমার গত কয়েকমাসের ডায়েট চার্ট আপনাদের সাথে আলোচনা করি-
সকালের নাস্তা:
সকাল ৭টার দিকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করে নিতাম। তার কিছুক্ষণ পর হালকা হলুদ মিশিয়ে চা পান করা হত।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে একটি ডিম সেদ্ধ করে খাবার পর এক কাপ সবুজ চা পান।
সকাল ১১টায় বাদাম।
দুপুরের খাবার:
১২টা ৩০ মিনিটে লাল চালের ভাত, দই, মুরগীর গ্রিল এবং ব্রকলি, বাঁধাকপি বা পালং শাক।
সন্ধ্যার নাস্তা:
সবুজ চায়ের পাশাপাশি ডিম।
রাতের খাবার:
মাছ অথবা পনির এর সাথে সবুজ শাক-সবজি।