আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে পাস হওয়া বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন দেশটির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে।
সম্প্রতি টুইটারে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কো-অর্ডিনেশন কমিটির’ পক্ষ থেকে ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।
লাইব্রেরির সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে সেটি বের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাতে শুধু মারধরই নয়, লাঠি উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসানিও দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।
ভিডিওটি প্রকাশের পরই এক বিবৃতিতে ওই সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সিসিটিভি ফুটেজটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি নৃশংসতার প্রমাণ। এতে প্রমাণিত হয়, কীভাবে রাষ্ট্রের পোষা সন্ত্রাসরা লাইব্রেরিতে ঢুকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। এদিকে ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর নতুন করে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দেশটিতে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অপরাধ দমন শাখা জামিয়া কাণ্ডের তদন্ত করছে। ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ভিডিওটি সামনে আসার পর দিল্লি পুলিশের নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। টুইটারে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘‘দেখুন দিল্লি পুলিশ কীভাবে পড়ুয়াদের মারধর করছে। একজন হাতে বই তুলে দেখাচ্ছে, তার পরেও তার উপর এলোপাথাড়ি লাঠি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা মিথ্যা বলেছিলেন যে, লাইব্রেরিতে ঢুকে কাউকে মারধর করেননি ওঁরা। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পরও জামিয়ার ঘটনায় কারোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলেই, এই সরকারের অভিসন্ধি সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শুধু লাঠিপেটা করাই নয়, গুলিও চালিয়েছিল পুলিশ। যদিও শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দিল্লি পুলিশ।