ডেস্ক রিপোর্ট: জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, সাতক্ষীরার কোন জনপদ লিগ্যাল এইডের আওতাবহির্ভূত থাকবে না। তিনি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে লিগ্যাল এইড অফিসের সহযোগিতা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অসহায়-গরীব মানুষ লিগ্যাল এইড অফিস থেকে বিনা খরচে মামলা পরিচালনার সুযোগ পেলেও, পাশাপাশি সমাজের ধনী-দরিদ্র সকল মানুষ এ অফিস থেকে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি সহ যে কোন ধরনের আইনগত পরামর্শ নিতে পারবেন। মানুষের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলাই হোক মুজিববর্ষের অঙ্গীকার।
তিনি শনিবার বেলা ১১ টায় শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সাথে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির আইনগত সহায়তা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. এস এম আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ ফারুক ইকবাল, সহকারী জজ জাহিদুর রহমান, জিপি এড. শম্ভু নাথ সিংহ, পিপি এড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি তপন কুমার দাস ও জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য এবং প্যানেল আইনজীবী খায়রুল বদিউজ্জামান।
জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার সকল মানুষের আইনি অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে লিগ্যাল এইড আইন তৈরী করেছে। সাতক্ষীরার মানুষ আজ এই আইনের সুফল পেতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, কোন গরীর মানুষ আইনি সহায়তা পেতে লিগ্যাল এইড অফিসে আসলে তাদেরকে যাতায়াতের খরচ সহ দুপুরে একবেলা খাবারের জন্যও অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সাতক্ষীরার কোন জনপদের মানুষ যাতে লিগ্যাল এইডের আওতাবহির্ভূত না থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঁচ শতাধীক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান ইউপি সদস্য, মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেন।
কর্মশালায় লিগ্যাল এইড আইনের উপর সাধারণ আলোচনা করেন এবং সমগ্র কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং সিনিয়র সহকারী জজ সালমা আক্তার।