দেশের খবর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আগামী ১৭ মার্চ আয়োজিত মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে আপাতত আসছেন না আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরাও।
রোববার (৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বিদেশি অতিথিদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল আপনারা জানেন। সেখানে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র থেকে শুরু করে অনেকের আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা আপাতত আসবেন না। পরে বিদেশি অতিথিদের ডাকা হবে। যেহেতু আমরা বর্তমান কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করছি, সেহেতু নতুন কর্মসূচি আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও জনসমাগম পরিহার করার কথা বলা হয়েছে। কোনো অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়নি। কর্মসূচি যেভাবে সাজানো হয়েছিল সেটা পুনর্বিন্যাস করা হবে। প্যারেড স্কয়ারে জনসমাগমের যে অনুষ্ঠানটি সেটাকে পুনর্বিন্যাস করে পরবর্তীতে করা হবে। তবে বঙ্গবন্ধু ভবনে যে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং টুঙ্গিপাড়ায় যে শ্রদ্ধা নিবেদন সেই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের দোয়া মাহফিল এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করা হবে।
কামাল আবদুল নাসের বলেন, জনস্বাস্থ্য ও জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। পরে ক্ষুদ্র পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। তবে জনসমাগম এড়িয়ে বছরব্যাপী উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষ।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) আমাদের জাতীয় কমিটির সভা আছে, সেখানে আমরা আলোচনা করবো।
রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।