খেলার খবর: সদ্য বিয়ে করা সৌম্য সরকারের দারুণ ব্যাটিংয়ের ভর করে প্রথম টি-২০-তে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য খেলেছেন ৩২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস। বিয়ের পর জাতীয় দলের হয়ে এই ম্যাচেই প্রথম মাঠে নেমেছেন সাতক্ষীরার এই্ তরুণ।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ফরম্যাট মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। টেস্ট দিয়ে শুরু সিরিজে মুমিনুল দলকে এনে দেন দুর্দান্ত এক জয়। এরপর মাশরাফি তার নেতৃত্বের শেষ সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করেন। সেই ধারা ধরে রাখলেন টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহও। মিরপুরে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে দলকে জয় এনে দিলেন ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে।
ওয়ানডে সিরিজে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং দেখিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দু’জনেই তুলে নেন দুটি করে সেঞ্চুরি। সঙ্গে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ইনিংস। টি-২০ সিরিজেও তাদের কাছে নিজের পত্যাশার কথা জানিয়ে রাখেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। দুই ওপেনার তামিম এবং লিটন সেভাবেই টি-২০ তেও শুরু করেন।
ওয়ানডে ওপেনিং জুটিতে দেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন তারা। টি-২০ ফরম্যাটে দুই ওপেনার গড়লেন দেশের সর্বোচ্চ ৯২ রানের জুটি। তাদের গড়ে দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ৩ উইকেটে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০০ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে এক ওভার থাকতে অলআউট হয় ১৫২ রানে।
টি-২০ ফরম্যাটে ওপেনিংয়ে এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জুটি ছিল লিটন-তামিমেরই। শ্রীলংকার বিপক্ষে তারা তুলেছিলেন ৭৪ রান। আর টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান ২১৫। শ্রীলংকার বিপক্ষে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডেজের বিপক্ষে ২১১ আছে বাংলাদেশের। শুরুতে লিটন-তামিম ওই রান ছাড়িয়ে যাওয়ার আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি বাংলাদেশ। তবে জিম্বাবুয়ে দেয় বড় লক্ষ্য।
দলের হয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৩ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। অন্য ওনেপার লিটন দাস ৩৯ বলে ৫৯ রান করে আউট হন। তিনি তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের মার দেখান। এরপর মুশফিকুর রহিম ফেরেন ১৭ রান করে।
বিয়ের কারণে ওয়ানডে সিরিজের শুরুর দুই ম্যাচে ছিলেন না সৌম্য সরকার। তৃতীয় ম্যাচে দলে ডাক পেলেও একাদশে জায়গা মেলেনি তার। তবে টি-২০ সিরিজের শুরুর ম্যাচে সদ্য বিয়ে করা সৌম্য খেলেছেন ৩২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের হার না মানা দারুণ এক ইনিংস। তিনি পাঁচটি ছক্কা ও চারটি চারের মার দেখান। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ করেন ১৪ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন টিনাসি কামুনহুকামে। দশম ব্যাটসম্যান চার্ল মুম্বা করেন ২৫ রান। এছাড়া শেন উইলিয়ামস, রিচমন্ড মুতুমবামি ও ডোনাল্ড ট্রিপানো ২০ করে রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট। শফিউল ইসলাম,সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন একটি করে উইকেট নেন।