নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান এলাকায় গ্রিলের তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাতে রাজার বাগান উত্তরপাড়া এলাকার মুনছুর আলীর বাড়িতে এঘটনা ঘটে। মুনছুর আলীর বড় ছেলে শাহিনুর রহমান জানান, তার ছোট ভাই হাফেজ শামীমের সাথে একই এলাকার রফিকুলের কন্যা আমেনা খাতুনের বিবাহ হয়। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির কারণে গত ২০মার্চ’১৭ তারিখে তাদের ছাড়া ছাড়ি হয়ে যায়। এর ২০ দিন পরে ওই আমেনা খাতুন আমাদের কে হয়রানি করার জন্য ১০ এপ্রিল’১৭ তারিখে সদর থানায় একটি মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আমার পিতা মুনছুর আলী, মাতা সুফিয়া ও আমাকে আসামি করা হয়েছে। অথচ আমি বিগত কয়েকবছর যাবৎ পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকি। এ মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে আমি, আমার পিতা,মাতা ও ছোটভাই বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যে কারণে রাতে আমাদের বাড়িতে কেউ থাকে না। এ সুযোগে বুধবার গভীর রাতে গ্রিলের তালা কেটে চোরেরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে একটি এল ই ডি ডিভি, ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ২২ হাজার টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার মামলা নিয়ে যায়। এছাড়া ঘরের আলমারিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে তছনছ করে তারা। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী আমেনা আমাদের পথে বসানোর জন্য একের পর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি সম্পূর্ণ আলাদা থাকি। তারপরও আমেনা আমাকে উক্ত মামলায় জড়িয়েছে। যদি আমরা সত্যিই যৌতুক দাবি করতাম তাহলে তালাকের সময় তারা কেন কিছু বলল না। তালাকের ২০ দিন পর তারা বুঝতে পারলো আমরা আমেনার কাছে যৌতুক দাবি করেছি। এ চুরির ঘটনায় আমেনার পরিবারের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনটি দাবি করেন তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, গতরাতে শাহিনুরদের বাড়িতে দূর্ধর্ষ চুরির সংঘঠিত হয়েছে। চোরেরা এসময় অনেক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। তবে কারা করেছে এটি বলতে পারবো না। এছাড়া বর্তমানে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে শহরের উপরে একের পর চুরি হচ্ছে আমাদের বুঝে আসে না। অবিলম্বে এসব চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।