স্বাস্থ্য ও জীবন: চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহর উৎপত্তি করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বের হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার চেয়ে সচেতন হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিদিনের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন আনা জরুরি।
আসুন জেনে নিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সেন্টার ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার দেয়া কিছু পরামর্শ–
১. খাবার খাওয়ার আগে, রান্না করার আগে এবং বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন। বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এগিয়ে যাওয়াই ভালো।
২. মাংস রান্নার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে খেতে হবে।
৩. প্রাণীর মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। এ সময় পশুর হাটে না যাওয়াই ভালো। অসুস্থ পশুপাখির সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।
৪. বাইরে গেলে মাস্ক পরা জরুরি। সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৫. পোষা প্রাণীর লালান-পালনের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। পোষা প্রাণী অসুস্থ হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
৬. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৭. সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে বাইরে যতটা সম্ভব কম বের হতে হবে। এ সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
৮. খুব প্রয়োজন ছাড়া এখন বিদেশে না যাওয়াই ভালো।