ফিরে আসুন হে পিতা
– সায়েম ফেরদৌস মিতুল
হঠাৎ কোনোদিন সকালে উঠে দেখলেন আপনার মাথার কাছে প্রফুল্ল প্রজাপতি আর উন্মিলিত সূর্যমুখীদের আড্ডা। দেখলেন আমার বেতনা আমার ইছামতী আমার কপোতাক্ষিতে হাজারে হাজার স্টিমার নৌকোর কলকাকলি। অথবা দেখলেন আপনার অঙুলি সংকেতে সোহরাওয়ার্দী থেকে শহিদ রাজ্জাক পার্ক পুরো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল আপাদমস্তক শ্লোগানে মেতেছে- “তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি, তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ। জয় বাংলা। জয় বাংলা।” অথবা অথবা দেখলেন কৈশোরকেলিরত সমস্ত জলধি সব আপনার নামে রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।আপনি একটুও অবাক হবেন না।
কোনোদিন সকালে উঠে দেখলেন আমাদের উঠোনে মাঠেঘাটে আবাদি শস্যের ঢল। বয়সী বটের তলে লাগাতার উৎসব। দাদী-নানীদের মুখে মুখে প্রাগতিক রূপকথা অফুরন্ত সুখের হিসেব নিকেশ। চারদিকে ঐক্যের স্তুতি। পৃথিবীর একটি কবিতাতেও থাকছেনা হতাশা,থাকছেনা অবাধ্য সময়ের দুয়ারে সর্বনাশের পদচিহ্ন। আর এই ক্যামন ভূমিপুত্র বিপ্লবী ইমেজ কাটিয়ে শোভাযাত্রায় তুলেছে প্রেমিকের পতাকা। আপনি একটুও অবাক হবেন না।
পিতা
আপনি নিশ্চিত কোনোদিন দেখলেন আমাদের সুলতান আবার ধরেছে বাঁশি। সভা সেমিনারে জয়নুল বয়ান করছেন দুর্ভিক্ষ ছিল ভুল অংকন। হকিং উঠেছেন চেয়ার ছেড়ে, উল্টে গেছে কৃষ্ণগহবরের সূত্র। মাত্র কয়েক দিনে ধ্বংস করা হবে পৃথিবী ব্যাপী সকল নিউক্লিয়াসের চাষ। ভূখণ্ডে থাকছে না কোনো কুটনৈতিক দপ্তর। আমাদের কালোরা সাদাদের বাড়ি,আমাদের নীচুরা উঁচুদের ঘরে। আমাদের হিন্দু আমাদের মুসলিম আমাদের বৌদ্ধ আমাদের খৃষ্টান আমরা সবাই বাঙালি বাংলাদেশী। আমাদের মানুষেরা সারিবদ্ধ সুশৃঙ্খল শিখেছে এগুতে, তুলে দিয়েছে সকল বিঘ্নের সীমান্ত। অনুগ্রহ করে আপনি একটুও অবাক হবেন না।
হে বঙ্গবন্ধু
আর একটিবার উঠে দাঁড়ান। মধুমতির পাড় থেকে রণিত হোক “আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবানা”। অন্তত আর একটিবার প্রমাণ করতে দিন ভালোবাসা মহাকাশসম, আপনার পদতলে বিনম্র নুড়িবালক শ্রেফ
হে পিতা…