বিদেশের খবর: বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ইতালিতে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৬ জন মারা গেছে, যা এ যাবৎকালে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যার রেকর্ড এটি। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ৬৩৮ জন মারা গেছে। ফলে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৫ জনে।
এর মধ্যে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৫৫ জন। চীনের বাইরে মারা গেছে ৮ হাজার ১৪৩ জন।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২৯৫ জনসহ মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৮৯২ জন।
এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭৯৮ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৮ জন। এ ছাড়া চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৪ জন।
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৭ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ৯ হাজার ৩৮২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮৮ শতাংশ।
এক করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকেই যেন স্তব্ধ করে দিয়েছে। অধিকাংশ দেশেই রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, শপিংমল-মার্কেট, রেস্তোরাঁ-বার ফাঁকা। যেন সব ভুতুড়ে নগরী– যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা চলছে। সবার মধ্যে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কা।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে; এটি প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও চীনের বাইরে ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সেখানে কেউ মারা যায়নি। সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ২৫৫ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৮ জন। এ ছাড়া চীনে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭১ হাজার ৭৪০ জন।
ইতালিতে বর্তমানে ৪২ হাজার ৬৮১ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৩৯ হাজার ৮২৪ জনের অবস্থা সাধারণ (স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে) এবং বাকি ২ হাজার ৮৫৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্তের অনুপাতে মৃত্যুর হার ৪৪ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৬ শতাংশ।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়সুস অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারগুলো এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি সরকারগুলোকে নিজ নিজ দেশের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৮ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।