দেশের খবর: আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। তবে যেসব দোকানে ওষুধ ও খাবার সামগ্রী বিক্রি হয়—এমন কোনও বাজার, দোকান বা মার্কেট এ সিদ্ধান্তের আওতায় পড়বে না। রবিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন।
তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সম্পর্ক নাই। তাই দেশের সব চেইনশপ যথারীতি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন চেইনশপগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন
তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে অবস্থিত বিপনি বিতান বা শপিং মলগুলোতে (বসুন্ধরা, যমুনা, নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, মৌচাক, কর্ণফুলী টাইপের শপিং মল) করোনা আতঙ্কে দোকানের কর্মচারী এবং ক্রেতা কেউই আসতে চায় না। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অপরদিকে দেশের চেইনশপগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সম্পর্ক নাই। তাই দেশের সব চেইনশপ যথারীতি খোলা থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতেও আপামর মানুষের খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চহিদা পূরণে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আগোরা, মিনা বাজার, স্বপ্ন, ইউনি মার্ট, প্রিন্স বাজার, ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস, ফ্যামিলি মার্ট, ক্যারে ফ্যামিলি’র মতো সুপার মার্কেটগুলো আগামী ২৫ মার্চ হতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে আমরা আপনাদের পাশেই আছি।