লিওনেল মেসি গোল খরা কাটালেন এল ক্লাসিকোয়। ১০ জনের রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে জোড়া গোল করলেন তিনি। ৩-২ গোলে জিতে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে ভালোভাবে ফিরল বার্সেলোনা।
এল ক্লাসিকো মানেই আগুনে বারুদে লড়াই। রবিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লড়াইটা হলো তেমনই। গত ডিসেম্বরে ন্যু ক্যাম্পে ১-১ গোলে ড্রর তুলনায় এবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অনেক বেশি উত্তেজনায় ঠাঁসা। দুই দলই বেশ কয়েকটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছে।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, করিম বেনজিমা, লুই সুয়ারেস, জেরার্দ পিকে সফল হলে গোলের বন্যা দেখা যেত মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোতে। তারপরও উত্তেজনায় কোনও কমতি ছিল না। দুই দলের মধ্যেই ছিল যুদ্ধাংদেহী মানসিকতা।
১১ মিনিটে মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে সুয়ারেসের শট গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। রিয়ালের প্রথম সুযোগ আসে ১৯ মিনিটে। করিম বেনজিমাকে সহজে রুখে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে টার-স্টেগান। ২ মিনিট যেতেই আবার রোনালদো পরীক্ষা নেন বার্সার গোলরক্ষককে, যেখানে আবারও উত্তীর্ণ হন টার-স্টেগান। ২৪ মিনিটে পর্তুগিজ তারকার শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায় মাঠের বাইরে। কয়েকবার সুযোগ নষ্টের পর ২৮ মিনিটে গোলমুখ খোলে রিয়াল। টনি ক্রুসের কর্নার পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় বার্সা, বক্সের ঠিক বাইরে বল পান মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের ক্রস থেকে সের্হিয়ো রামোসের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে সুযোগসন্ধানী কাসেমিরো ১-০ করেন।
তবে রিয়ালের এ আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৩ মিনিটে বুসকেতস ও রাকিতিচের যোগসাজশে সমতা ফেরান মেসি। পাঁচটি এল ক্লাসিকো শেষে গোল পান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। বিরতির আগে শেষ ৫ মিনিটে দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
বিরতির পর ফিরে ৪৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। ক্রুসের বাঁপায়ের শট সহজে রুখে দেন টার স্টেগান। ১০ মিনিট পর রিয়াল গোলরক্ষককে পরীক্ষা দিতে হয়। পিকের হেড কোনোভাবে ওই যাত্রায় রুখে দেন কেইলর নাভাস। তবে পারেননি ৭৩ মিনিটে রাকিতিচকে ঠেকিয়ে দিতে। ডিবক্সের কিছুটা সামনে থেকে বাঁপায়ে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা।
পিছিয়ে পড়ার পর রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে রামোস লাল কার্ড দেখলে। ৭৭ মিনিটে মেসিকে ফাউল করে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিক অধিনায়ক। তবে শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে হামেস রদ্রিগেসের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু শেষ মিনিটেও অদম্য ছিল বার্সা। যোগ করা সময়ে মেসির দ্বিতীয় গোলে ৩-২ গোলের জয় নিশ্চিত করে তারা।