নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ঘেরের লিজের টাকা চাওয়ায় জমির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে লিজ গ্রহীতার পুত্র বিল্লাল হোসেন সুমন। পুলিশের ভয়ে ঘের মালিকেরা বাড়ি ছাড়া। এই সুযোগে বিল্লাল হোসেন সুমন তার দলবল নিয়ে তাদের অন্য মৎস্য ঘের থেকে দু’লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে। বিষ দিয়ে মেরে দিয়েছে বাকি মাছ। রাতের বেলায় জমির মালিকদের বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার, মারপিট ও উৎপাত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছনকা গ্রামের ঘোষপাড়ায়।
ছনকা ঘোষ পাড়ার সানাউল্লাহ গাজীর স্ত্রী ফরিদা খাতুনের লিখিত অভিযোগ, ছনকা গ্রামের মালুনী বিলে তাদের পরিবারের চার বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। এই ঘেরটি ছনকা ঘোষ পাড়ার বিল্লাল হোসেন সুমনের পিতা ফজর আলী মোল্লা লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করছে। পিতা পুত্র দুজন মিলে ঘেরটি পরিচালনা করে আসছে। জমির মালিকেরা লিজের টাকা চাওয়ায় কূটকৌশলের আশ্রয় নেয় এবং সুমন বাদী হয়ে ২ এপ্রিল মামলা করে। এতে ফরিদা খাতুনের দুই ছেলে সাইদ জামান ও সাকিব হাসান, দেবর রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম, একই গ্রামের হাসানুর বান্না ও নারাণজোলের সাকিবকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করে। করোনা ভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় জমির মালিকরা আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে পারছে না। পুলিশের ভয়ে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সেই সুযোগে ৭ এপ্রিল বিল্লাল হোসেন সুমন ছনকা গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র ফারুক গাজী, ফিরোজ গাজী ও আব্দুর রব, হামিদ গাজীর পুত্র হাসান গাজী ও মোখলেসুর, আকবর গাজীর পুত্র মিলন, আলিম সরদারের পুত্র লিটন, রেজাউল ইসলামের পুত্র রিপন মোল্লা, সবুর মোল্লার পুত্র জেনিথ এবং হাসেম গাজীর পুত্র আক্তার গাজীকে নিয়ে ফরিদা খাতুনদের অন্য একটি মৎস্য ঘের থেকে চিংড়ি, রুই মাছ, ছোট চারা মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা। পরে বিষ প্রয়োগ করে আরো লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে দেয়।
এর আগে তারা ফরিদা খাতুনদের বাড়ি পুরুষশূন্য থাকায় রাতের বেলায় তারা উৎপাত করে। অশালীন ব্যবহার করে। এখন দফায় দফায় মারধরের হুমকি দিচ্ছে। গত ৪ এপ্রিল রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য গালিগালাজ ও মারপিট করে। ফরিদা খাতুন ও তার জা সরবানু খাতুনের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতা হানি ঘটায়। রফিকুলের একটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। এখন বাড়ির মহিলা ও শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে ফরিদা খাতুন থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এঅবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জেলা প্রশাসন সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
পূর্ববর্তী পোস্ট