অনলাইন ডেস্ক: বেলাবতে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এলাকার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ ত্রাণের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা অত্র ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তুফা গোলাপের বিরুদ্ধেও ত্রাণ নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগ এনে নানা শ্লোগান দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র মানুষদের মাঝে সারাদেশের ন্যায় বিন্নাবাইদ ইউনিয়নেও তিন দফায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রথম দফায় ১৫০ জনকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি ডাল ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়। কিন্তু ২য় ও ৩য় দফায় দুইশ’ জনকে ডাল ও সাবান না দেওয়ায় এবং প্রথম দফা থেকে আলু কম দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় চেয়ারম্যান তাদেরকে কম দিয়ে ত্রাণ আত্মসাৎ করেছেন।
এলাকার কিছু মানুষের অভিযোগ- দরিদ্র মানুষদের না দিয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তুফা গোলাপ তার অনুসারী ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে সবসময় রিলিফ ও ত্রাণ দেয়।
বিন্নাবাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। বরাদ্ধকৃত রিলিফ ও ত্রাণ চেয়ারম্যানের অনুসারী ও আত্মীয় স্বজন ছাড়া কাউকেই দেন না এমন অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। যারা ত্রাণ পায় না তাদের নের্তৃত্বেই মনে হয় আজকের বিক্ষোভ মিছিল।
অভিযুুক্ত চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তুফা গোলাপ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ’বরাদ্ধ যা আসে তাই দরিদ্র মানুষের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। ইউনিয়নের গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি। সে অনুযায়ী বরাদ্ধ আসে না। বরাদ্ধ না পেলে আমি দেবো কোথায় থেকে?’
বেলাব থানা ওসি মো. ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, একটি পক্ষ এলাকায় ভুল তথ্য প্রচার করে- ‘আজ সেনোবাহিনীর মাধ্যমে অত্র ইউনিয়নে ত্রাণ দেওয়া হবে।’ এ খবরে কিছু লোক পরিষদে গিয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা শরমিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অত্র ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ত্রাণের ব্যাপারটি ভাল ভাবে ম্যানেজ করতে পারেনি মনে হয়। এ কারণেই কিছু লোক বিক্ষোভ করেছে।’
পূর্ববর্তী পোস্ট